
ভারত শাসিত কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতা প্রবীণ রাজনীতিক সৈয়দ আলি শাহ গিলানির লাশ পুলিশ ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে গোপনে দাফন করেছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
তার ছেলে নাসিম গিলানি আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, কঠোর নিষেধাজ্ঞার অধীনে কর্তৃপক্ষ তার বাবার লাশ নিয়ে গিয়ে গোপনে দাফন করেছে।
তিনি বলেন, তার ইচ্ছানুযায়ী এই অঞ্চলের প্রধান শহর শ্রীনগরের প্রধান শহীদ কবরস্থানেই তাকে দাফনের পরিকল্পনা করেছিল তার পরিবার। কিন্তু “তারা (পুলিশ) তার লাশ ছিনিয়ে নিয়েছে এবং জোর করে তাকে অন্য জায়গায় দাফন করেছে”। হায়দারপোরায় গিলানির বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে স্থানীয় মসজিদের কাছে অবস্থিত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
নাসিম আল জাজিরাকে বলেন, “আমরা প্রশাসনকে বলেছিলাম যে, আমরা তাকে সকাল ১০টায় দাফন করব যাতে আমাদের আত্মীয়স্বজন যারা দূরবর্তী এলাকায় থাকে তারা সেসময় উপস্থিত থাকতে পারেন”।
“কিন্তু তারা ভোর ৩টায় জোরপূর্বক লাশ নিয়ে যায় এবং আমাদের কাউকে শেষ নামাজে অংশ নিতে দেয়নি। এমনকি তারা পরিবারের নারীদের সঙ্গেও ঝগড়া করেছিল, যারা তার দেহ কেড়ে নিতে বাধা দিয়েছিল”।
নাসিম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পরিবারের সদস্যদের গিলানির কবর দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে যে, রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা গিলানীর লাশ দাফন করেছেন এবং ভারত বিরোধী বিক্ষোভের আশঙ্কায় গণজানাজা পড়ার অনুমতি দেয়নি।
বুধবার মারা যাওয়া গিলানি কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
বুধবার রাতে শ্রীনগরে নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী এই নেতা দীর্ঘ দিন ধরেই গৃহবন্দি ছিলেন। গত বছর হঠাৎ করেই স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর জোট হুররিয়াতের নেতৃত্ব থেকে ইস্তফা দেন তিনি।