
পরীমনির জামিন বিষয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মতো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তির বিষয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, হাইকোর্টের দুজন বিচারক পরীমনির ব্যাপারে এত প্রশ্ন উঠিয়েছেন, খালেদা জিয়ার জামিনের প্রশ্ন তুলছেন না কেন?
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুরুল হক মিলনায়তনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পার্টির (জাফর) এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আদালতের উদ্দেশে বলেন, পরীমনিকে জামিন দিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি দিন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে এত দিন পরেও খালেদা জিয়ার জামিন না দেওয়ার কী কারণ হতে পারে? কী আছে, কী করেছেন উনি? উনি তো চুরি করতে জানেন না? ওনার বড় অপরাধ হচ্ছে উনি চুরি করতে পারেন না। এটাই ওনার বড় অপরাধ। সেটা দিয়েও যখন সুবিধা হচ্ছে না। তখন নিত্যনতুন সমস্যা আনলেন। কবরের রাজনীতি শুরু করলেন।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এই জাতির দুর্ভাগ্য। যারা এই দেশ স্বাধীন করেছে, তাদের জাতি স্মরণ করে না। পরীমণির মুক্তির জন্য হাইকোর্ট কথা বলে কিন্তু খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এর কারণ খালেদা জিয়া চুরি করতে জানেন না। পরীমনিকে যেমন জামিন দিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন। আমাদের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সব সময় নিত্যনতুন বিষয় সামনে তুলে আনা হয়। এখন আনা হয়েছে জিয়ার বিষয়। কিন্তু বিস্ময় হচ্ছে, করোনার সঙ্গে ডেঙ্গু বেড়েছে কিন্তু সরকার ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে পারছে না। অথচ ডেঙ্গু আমরা সহজেই প্রতিরোধ করতে পারি নিজেদের সচেতনতা ও কোটি মানুষকে মশারি ও প্যারাসিটামল বিতরণ করে।’
সংগঠনের চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবীব, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।