
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন ওরফে সুজনের (৪১) প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর তিনিসহ তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস কর্মসূচিতে সংঘর্ষের ঘটনার দিন প্রকাশ্যে গুলি ছুড়েছিলেন তিনি।
রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল শনিবার ভোরে গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গিয়াস উদ্দিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁর আরেক সহযোগী মাঈনউদ্দিন সাঞ্জুকে (৩৯) অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম র্যাবের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বলেন, ‘অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার গিয়াস উদ্দিন ও তাঁর সহযোগীকে চন্দনাইশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
র্যাব জানায়, ‘গত ৩০ আগস্ট চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক শোকসভার আয়োজন করা হয়। ওই শোকসভায় ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জেরে গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে। অবরোধের সময় রাস্তায় আগুন দেওয়া হয়। একই সময় অস্ত্র উঁচিয়ে গিয়াস উদ্দিনকে গুলি করতে দেখা যায়। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।’
এ ঘটনায় চন্দনাইশ থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা করা হয়। গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় ১০ জনকে। অপরদিকে মো. আবুল ফয়সাল নামের এক ছাত্রলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনকে ১ নম্বর আসামি করে ২১ জনের নামে পাল্টা মামলা করেন।
এ ঘটনাটি চট্টগ্রামজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়। পরে এ মামলার তদন্ত শুরু করে র্যাব। এরপর গতকাল শনিবার ভোরে সহযোগীসহ সাবেক যুবলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।