ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আলোচিত রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায় পেছালো

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বিচারক অসুস্থ থাকায় রাজধানীর বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার রায় পিছিয়েছে বলে জানিয়েছেন, আদালতের পেশকার মো. ইলিয়াস। আসামিরা হলেন- সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার আদালতে এ রায় ঘোষণার কথা ছিল। গত ৩ অক্টোবর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে এদিন জামিনে থাকা পাঁচ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় মোট ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যান আসামিরা। সেখানে বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তার মাধ্যমেই ওই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে ওই দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় হয়। পরে সাফাত তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ওই দুই শিক্ষার্থীকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানালে তারা সম্মত হন।

আমন্ত্রণ জানানোর সময় তাদের বলা হয়েছিল, বড় অনুষ্ঠান হবে, অনেক লোকজন থাকবে। ঘটনার রাতে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী দুই শিক্ষার্থীকে বনানীর ২৭ নম্বর রোডে অবস্থিত হোটেল রেইনট্রিতে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তারা অন্য কোনো লোকজন দেখতে পাননি। তবে অন্য দুই তরুণীকে সাফাত ও নাঈম হোটেলের ছাদ থেকে নিচে নিয়ে যেতে দেখতে পান তারা। কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন না দেখে তারা চলে যেতে চাইলেও আসামিরা তাদের গাড়ির চাবি শাহরিয়ারের কাছ থেকে নিয়ে নেন। পরে তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে বাদী ও তার বান্ধবীকে হোটেলের একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসামিরা। এসময় সাফাত তার গাড়িচালককে ধর্ষণের মুহূর্ত ভিডিও ধারণ করতে বলেন। বাদীকে মারধর করেন নাঈম আশরাফ।

২০১৭ সালের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ১৯ জুন একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ওই বছরের ১৩ জুলাই ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শফিউল আজম পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার অন্য তিন আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধেও একই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print