ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রাম আদালতের নামে ভুয়া গ্রেপ্তারী পরোয়ানা যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন আদালত থেকে একের পর এক ভুয়া গ্রেপ্তারী পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। আর এসব পরোয়ানাপত্র পেয়ে সাধারণ-নিরপরাধ ও নিরিহ মানুষকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাচ্ছে পুলিশ।

সম্প্রতি এধরণের ১৪টি গ্রেপ্তারী পরোয়ানার তথ্য উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মহানগরের কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করেছেন চট্টগ্রামের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের নাজির মো. আবুল কালাম আজাদ। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আবুল কালাম আজাদ মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন, সম্প্রতি চট্টগ্রামের কথিত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর নাম, সীল ও সাক্ষর ব্যবহার করে একটি সাজা গ্রেপ্তারী পরোয়ানা পৌছে কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তরে। যেটিতে রায় ঘোষণার তারিখ দেখানো হয়েছে ২৩ মার্চ ২০২০ এবং ধারা ৩২৩, ৩৯৭, ১০৯ দ: বি:।

এই পরোয়ানাটি পেয়ে চলিত মাসের ১১ অক্টোবর জেলার কাটিয়াদি করগাঁও লামার বাজার এলাকার বিল্লাল এর ছেলে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে হাজির করে সেখানকার থানা পুলিশ। আদালত তাকে ওই গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেয়।

গত ১২ অক্টোবর এই বিষয়ে একটি উপনথি আসে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। পরে আদালতের কজলিস্ট, কোট ডায়েরী, প্রসেস রেজিস্টার, পরোয়ানা রেজিস্টার ও পিয়ন বই যাচাই করে রেজাউল করিম চৌধুরী নামে চট্টগ্রামের কোনো চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া পরোয়ানাটি এই আদালত থেকে ইস্যু করা হয়নি এবং এটি সম্পূর্ণ জাল।

ওই অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, এরআগে পটুয়াখালীর ধুমকী থানার জনৈক মো. মিজানুর রহমানের নামে ভুয়া গ্রেপ্তারী পরোয়ানা পৌছে ওই জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তরে। বিষয়টি অবগত হয়ে পরে এই আদালত থেকে সেখানে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়।

এছাড়াও চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটদের নাম, ভুয়া সীল, সাক্ষর ব্যবহার করে অনেকগুলো গ্রেপ্তারী পরোয়া পৌছে বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারদের দপ্তরে। এরমধ্যে সিআর ৭২৯/২০ হুমায়ুন আহমেদ, সিআর ১৭২২/২০১৬, সিআর ৩৩৭৭/২০১১, সিআর ৮১৫/২০২০ ফাহিমা বেগম লিজা, সিআর ১৭৭১/২০১৩ মো. আব্দুল হাকিম (নিম ম-ল), সিআর ৭২৮/২০২০ আব্দুল লতিফ শেখ, ১৬২৭/২০১৮ মোনছের আলী, সিআর ১২২৩/১৮ সিআর ১৯৭৪/২০১৬ মো. চান মিয়া, সিআর ১২২২/১৭ শাহাদাত হোসেন ও সিআর ১৯৭৫/২০১২ মামলায় জনৈক সূর্য্যভানুর নামে ভুয়া গ্রেপ্তারী পারোয়ানা পাঠানোর তথ্য এই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসীর বিভিন্ন আদালতের নাম ব্যবহার করে জাল সীল সাক্ষরে একটি সক্রিয় চক্র ভুয়া গ্রেপ্তারী পরোয়ানা পাঠিয়ে সাধারণ-নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করে ৪২০, ৪৬৫, ৪৬৬, ৭৭১ ও ১০৯ দণ্ড বিধিতে অপরাধ করেছে। তাই এই চক্রটিকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য মামলাটি করা হয়।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print