
একটি শিশুর জীবন বাঁচিয়ে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করলেন এক ডিবি পুলিশ সদস্য। তার নাম শের আলী।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর একটার সময় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামুর রশিদনগরে ইউনিক পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে ৪ জন নিহত হয়। আহত হয় ২৫ জনের বেশি। ওই বাসের নিচে চাপা পড়ে একটি ছোট্ট শিশু।

তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় রক্তাক্ত শিশুটিকে উদ্ধার করে আনেন স্থানীয় বাসিন্দা শের আলী। উদ্ধার করা মাত্রই কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই রক্তাক্ত শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে সর্বশক্তি দিয়ে দৌঁড়ানো শুরু করেন তিনি। দৌঁড়ানোর সাথে সাথে অপরিচিত এ শিশুটির জন্য চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন। তার কান্নায় শোকে স্তব্ধ গোটা পরিবেশ, সবাই অবাক। শিশুটির কষ্ট ও যন্ত্রণা দেখেই অঝোরে কেঁদেছেন, তিনি যেন আপন কেউ। ওই সময় শের আলীর কান্না দেখে উপস্থিত জনতাও চোখের পানি আটকাতে পারেননি। শের আলী এবং হাজারো মানুষের দোয়া আর কান্না হয়তো সৃষ্টিকর্তা কবুল করেছেন। উম্মে হাবিবা নামের ওই শিশুটি এখন আশংকামুক্ত।
শিশুটিকে উদ্ধার করে দৌড়ে হাসপাতালে নেয়ার সময় তার কান্নার কয়েকটি ছবি গতকাল সোমবার থেকে ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সকলেই এ পুলিশ সদস্য কনস্টেবল শের আলীর মানবিক কর্মকাণ্ডে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। চট্টগ্রাম মহানগর ডিবি পুলিশে কর্মরত। নিজ বাড়িতে ছুটি ভোগকালীন তিনি এ মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।