
ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার মধ্যে অবশেষে কানাডার উদ্দেশে দেশ ছেড়ে গেলেন সরকারের আলোচিত নিন্দিত পদত্যাগকারী তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটসের এয়ার লাইনস যোগে কানাডার উদ্দ্যেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করে চলে যান।
এর আগে রাত সাড়ে ৯টায় তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। তার গন্তব্য কানাডার টরেন্টো।
জানাগেছে, এদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে গুলশানের ১ নম্বর থেকে দুই নম্বর যাওয়ার সময় তাকে দেখা যায়। এসময় তিনি সাদা রংয়ের ল্যান্ড ক্রুজার (গাড়ি নম্বর -ঢাকা মেট্রো -ঘ ১৮: ৩৮২৭) গাড়িটি নিজেই চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
এসময় গাড়িতে একাধিক লাগেজ ছিল। তিনি ছাড়া গাড়িতে কেউ ছিলেন না। পরে গাড়িটি আজাদ মসজিদের পাশের রাস্তা দিয়ে দ্রুতগতিতে বনানীর দিকে এগিয়ে যায়।
এছাড়া গতকাল বুধবার (৮ ডিসেম্বর) কানাডায় যাওয়ার জন্য টিকিট কাটেন বলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানায়।
জানা যায়, প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মুরাদ হাসানের যে লাল পাসপোর্ট (বিশেষ পাসপোর্ট) ছিল, সেটি পদত্যাগের দিন মঙ্গলবার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে মুরাদ হাসানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গত কয়েকদিন ধরে সারা দেশের টক অব দ্য কান্ট্রি সদ্য পদত্যাগ করা প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক অডিও-ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অনেকটাই আত্মগোপনে চলে গেছেন আলোচিত সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। গণমাধ্যম বারবার যোগাযোগ করেও তার সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পদত্যাগপত্র জমা দিতেও আসেননি সচিবালয়ে।
বেশকিছু দিন ধরে বিভিন্ন কারণে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি অডিও ক্লিপ। যেখানে কথা বলেন ডা. মুরাদ হাসান। অপর প্রান্তে ছিলেন চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
ফাঁস হওয়া ওই কথোপকথনে মুরাদ মাহিকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তুলে আনার হুমকি দেন। পুরো বক্তব্যে ‘অশ্রাব্য’ কিছু শব্দ উচ্চারিত হয়েছে। বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’।