
চুয়াডাঙ্গায় গুড় কিনতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। ফিল্মি স্টাইলে গাড়ি থেকে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পালাক্রমে তিন ঘণ্টা ধর্ষণের পর গৃহবধূকে তার বাসায় দিয়ে যায় ধর্ষকেরা!
গত ২৫ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলার চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নীলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু ভিকটিম গতকাল সোমবার রাতে অভিযোগ জানানোর সাথে সাথেই অভিযুক্ত ৩ জনের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ২ জন হলেন-মোঃ রুবেল হোসেন (৩২) ও মোঃ নাজিম হোসেন (৩০)। মোঃ বিল্লাল হোসেন নামে একজন পলাতক।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন পাঠক ডট নিউজকে বলেন, ‘ঘটনাটি ২৫ ডিসেম্বরের। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে গৃহবধূ এতদিন মুখ খুলেননি। গতকাল রাতে অভিযোগ জানানোর সাথে সাথেই অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা অনেকটা ফিল্মি কায়দায় একটি চলন্ত পাখি ভ্যান (এক ধরনের যান) গতিরোধ করে গৃহবধূকে একটি মোটরসাইকেল করে তুলে নিয়ে যায়। পরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে সেই গৃহবধূর বাড়িতে দিয়ে যায়!’
গৃহবধূর মামলার সূত্রে পুলিশ জানায়, গত ২৫ ডিসেম্বর খেজুরের গুড় কিনতে জনৈক আব্দুল আলীমের বাড়ি যান ওই গৃহবধূ। রাত ৮ টার দিকে পাখি ভ্যান (স্থানীয় যান) চড়ে বাড়ি ফেরার সময় অভিযুক্ত তিনজন মোটরসাইকেল করে এসে গাড়ির গতিরোধ করে। এরপর ওই গৃহবধূকে তুলে নেয় তারা। এই সময় ওই পাখিচালক বাধা দিলে তাকেও মারধর করে অভিযুক্তরা। পরে তারা গৃহবধূকে পৌরসভার বুজরুক গড়গড়ী মাদারতলা রোডের ইটভাটার পটের পার্শ্বে আম বাগানে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর রাত ১২ টায় ওই গৃহবধূকে তার বাড়িতে দিয়ে যায় অভিযুক্তরা। লোকলজ্জার ভয়ে দুইদিন চুপ থাকার পর গতকাল রাতে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গৃহবধূ। মামলা দায়েরের সাথে সাথেই অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। পলাতক বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।