
দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুসহ দুই নেতার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। কারাগারে পাঠানো অপরজন হলেন-বাকলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শামীম আহমেদ।
সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৬ষ্ঠ মেহনাজ রহমানের আদালতে এ আদেশ দেন।
আসামীদের আইনজীবী এ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন বলেন, কোতোয়ালী থানার ভাঙচুরের দু’টি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু ও বাকলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শামীম আহমেদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করে দুইজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে নিন্ম আদালতে জামিন প্রার্থনা করেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত বছরের ২৯ মার্চ বিকেলে নগরের কাজীর দেউড়িতে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে দু’টি মামলা করা হয়। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু ও বাকলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শামীম আহমেদকে কারাগারে প্রেরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ।চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী মুর্তজা খান এক বিবৃতিতে বলেন, দেশ পরিচালনায় নিজেদের ব্যার্থতা আড়াল করতে এবং ফ্যাসিবাধী শাসন অব্যাহত রাখতে সরকার বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর দমন-পিড়নের স্টীমরোলার চালাচ্ছে। মানুষের ভোটের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার ভূলুন্ঠিত করে বাকশালি কায়দায় বিরোধী দল ও মত দমনে বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বেলায়েত হোসেন বুলু ও শামীম আহমেদ এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার পূর্বক নি:শর্ত মুক্তি দাবি করেন।