ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আজ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

রাত পোহালেই আজ রবিবার (১৬ জানুয়ারী) শুরু হবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বানের ভোটের লড়াই। কেন্দ্রে এসে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন জেলা পুলিশ প্রশাসন।

এর আগে শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) রাত থেকেই নগরীর নিরাপত্তা জোরদার করতে মাঠে নেমেছে ১৮ প্লাটুন বিজিবি। নির্বাচনী সহিংসতা এড়াতে প্রতিটি ওয়ার্ড ও ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এর আগে ১২ টা ১ মিনিটে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রম। এদিকে জেলা নির্বাচন অফিসের কার্যালয় থেকে ইভিএমে ভোট প্রদান নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে মক ভোটিং কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

জেলা নির্বাচন অফিসের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরশেনের সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসূল অঞ্চলের ২৭ টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন। ২৭ টি ওয়ার্ডে ১৯২ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। ভোট কক্ষের সংখ্যা ১,৩৩৩ ও অস্থায়ী ভোটকক্ষের সংখ্যা ৯৫ টি। প্রতিটি অঞ্চলে একজন করে প্রিজাইডিং অফিসার থাকবে। একই সাথে ৩টি ওয়ার্ডে ১জন করে মোট ৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা থাকবে।

.

জেলা নির্বাচন অফিসের রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান জানান, ভোটারদের ভোট প্রদানের সুবিধার্থে মক ভোটিং চলছে। যাতে ভোটাররা ঠিকঠাক ভোট দিতে পারে। আমার প্রতিটি কেন্দ্রে এ ক্যাম্পিং পরিচালনা করেছি। এখনও চলছে। নির্বাচনী পরিবেশ প্রসঙ্গে তিনি জানান, নির্বাচনী পরিবেশ উৎসবমুখর।

অন্যদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের দিন কেন্দ্রগুলোতে ৩০ জন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩ জন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।

তিনি জানান, প্রতিটি কেন্দ্রকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে আগামীকাল আমাদের একটি মিটিং আছে সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা করা হবে। আজ রাত থেকেই নারায়ণগঞ্জে ১৮ প্লাটুন বিজিবি নামবে। এছাড়া র‌্যাবের ১০০ টিম, সাদা পোশাকে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ মাঠে থাকবে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নির্বাচনের দিন যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশসহ তিনটি স্তুরে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, নির্বাচনী পরিবেশ উৎসব মুখর। কিন্তু কয়েকটি ওয়ার্ডে সমস্যা আছে। যা খুব জটিল কিছু না। নির্বাচনকে কেন্দ্র এমন কিছু এলাকা থাকে। তারপরও আমরা সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে ৩০টি কেন্দ্রকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

.

যা বলছে ভোটাররা:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের ভেতর চলছে টানটান উত্তেজনা। আনন্দের সঙ্গে আশঙ্কাও কাজ করছে বলছে ভোটাররা। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের ভোটার কলেজ শিক্ষার্থী জাহিদ জানান, সুষ্ঠ নির্বাচন চাই। আমার ভোটটা যাতে আমি দিতে পারি সেইটা নিশ্চিত করলেই ভোট দেওয়া সম্ভব।

অন্যদিকে ভোট প্রদান নিয়ে অনীহা প্রকাশ করেছেন অনেক ভোটার। ১৪ নং ওয়ার্ডের দেওভোগ লিচুবাগ এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী সালেহা বেগম জানান, ভোট দেওয়া লাগে না এখন। জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়া লাগে নাই। আজকে আবার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার নিয়ে গেল কয়েকজন। বলল ভোটের জন্য লাগবে। এবারও ভোট দেওয়া লাগবে না।

১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক রহমান জানান, ভোট নিয়ে আগের মত উত্তেজনা কাজ করে না। তারপরও পরিস্থিতি ভালো দেখলে ভোট কেন্দ্রে যাবো।

এদিকে, ভোটকেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

শুক্রবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, যে সকল ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা রয়েছে বিশেষ করে স্কুলগুলোতে। সেখানকার সকল সিসি ক্যামেরা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাহলে অবস্থা বুঝতেই পারছেন। এখন পর্যন্ত তিন তিনবার নিবার্চনকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থাই নেননি। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না।

তবে এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসের রিটার্নিং কর্মকতা মতিয়ুর রহমান। তিনি জানান, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি।

সরকার দলীয় মেয়র পদপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী জানান, তৈমুর কাকা এসব আশঙ্কা থেকে বলছেন। এর আগেও আমরা সিসি ক্যামেরা ছাড়াই পাশ করেছি। আশা করি এবারও করবো। কাকা জিতলেও আমার কাকা হারলেও আমার কাকা। আমি জিতলেও কাকার মেয়ে হারলেও কাকার মেয়ে। আসেন আমরা নির্বাচন করি। শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকি।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের শুরু থেকেই সরকারি দলের মেয়র প্রার্থী নৌকা প্রতীকের সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ১৬ জানুয়ারি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print