
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডুলাহাজরা মালুমঘাট এলাকায় দ্রুতগামী পিকআপভ্যানের চাপায় একই পরিবারের ৫ ভাই নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন ভাইবোন। চার ভাই ঘটনাস্থলে নিহত হওয়ার পর গুরুতর আহতদের মধ্যে সরণ শীল পরে মারা যান।
দশদিন আগে মারা যাওয়া বাবার শ্রাদ্ধকর্ম শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে তারা এ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।
আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট রিংবং এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন অনুপম শীল (৪৭), নিরুপম শীল (৪৫), দীপক শীল (৪০) ও চম্পক শীল (৩০), সরণ শীল।
বাকি আহতরা হলেন রক্তিম শীল (৩০), প্লাবন শীল ও হীরা শীল (৪২)। হতাহতরা সবাই চকরিয়ার ডুলাহাজরা ইউনিয়নের সগীর শাহ কাটা গ্রামের মৃত সুরেশ চন্দ্র শীলের সন্তান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) সাফায়েত হোসেন জানান, নিহতদের বাবা দশদিন আগে মারা যান। বাবার জন্য শ্রাদ্ধ দিয়ে বাড়ি ফিরার সময় একসাথেই রাস্তা পার হচ্ছিলেন তারা। এ সময় কক্সবাজারমুখী নম্বরবিহীন একটি পিকআপ তাদের চাপা দিলে তারা গুরুতর আহত হন।
উদ্ধার করে স্থানীয় মালুমঘাট খ্রিস্টান হাসপাতালে নিলে তাদের ৪ ভাইকে মৃত ঘোষণা করা হয়। গাড়িটি শনাক্ত করা যায়নি। লাশগুলো তাদের পরিবারের জিম্মায় রয়েছে।
বাবার শ্রাদ্ধ দিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না ৪ সহোদরের
মালুমঘাট এলাকার বাসিন্দা ডুলাহাজারা ইউপি নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এম আর মাহবুব জানান, দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া থেকে মালুমঘাট এসে বসতি গড়ার পর সুরেশ চন্দ্র শীল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে সেবা দিতেন। তার ছেলেরা কুতুবদিয়ায় থেকে বাবা-মায়ের কাছে আসা যাওয়া করতেন।
দশদিন আগে ডা. সুরেশ পরলোক গমন করেন। বাবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও শ্রাদ্ধ করতে সন্তানরা পরিবারসহ রিংভংয়ে বাবার বাসায় অবস্থান করছিলেন। ধর্মীয় রীতি অনুসারে ভোরে সন্তানরা শ্রাদ্ধ করতে বের হন। তারা বাবার শ্রাদ্ধ দিয়ে ফিরছিলেন। কিন্তু স্বস্তিতে বাসায় ফেরা আর হলো না তাদের।
বাবার শোক পালনের মধ্যেই ঘটে গেল আরো বড় বিয়োগান্তক ঘটনা। এ দুর্ঘটনায় পরিবারে নেমে এলো বিষাদের কালো ছায়া। বাসায় ফেরার পথে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন চার ভাই। আহত হলে আরো কয়েকজন ভাইবোন।