চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ সদস্যদের তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চবি উপাচার্য দফতরের সিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর আবুল মনছুরকে আহ্বায়ক করা তদন্ত কমিটিতে অন্য সদস্যরা হলেন, বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. জারিন আক্তার, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট ড. তড়িৎ কুমার বল, চবি কলেজ পরিদর্শক শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী ও সহকারী প্রক্টর এসএ এম জিয়াউল ইসলাম। উক্ত তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান ও প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া।
এদিকে মাস্টারদা সূর্যসেন হলের অধক্ষ্য তড়িৎ কুমার বল জানিয়েছেন, গতকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ এবং ভাঙচুরের ঘটনায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। যেই দোষ করে থাকুক, কেউ ছাড় পাবে না। আমরা তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
এর আগে বেলা ১২টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের সামনে এই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেন। দাবি তিনটি হলো, যারা মাস্টারদা সূর্যসেন হলে হামলা চালিয়েছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে, হামলার ভাংচুর করা জিনিসের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের সকল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
উক্ত মানববন্ধনে উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে সহ ও প্রক্টরিয়াল বডি উপস্থিত হন।
সেখানে উপ-উপাচার্য বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করবো। এ ঘটনায় দোষীদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সনাক্ত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক।
এতে উপ-উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন থেকে সরে আসেন।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপ-গ্রুপ সিক্সটি নাইন ও এপিটাফ এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে জড়ানো গ্রুপ দুটি সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারি হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে র্যাগ দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়।