
কলি যুগের মহাতীর্থ হিসাবে খ্যাত হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে প্রাচীনতম ধর্মীয় উৎসব চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ ধামে শিব চতুদর্শী মেলা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে। তিনদিনব্যাপী আয়োজিত এ মেলা উপলক্ষে ইতিমধ্যে প্রশাসন ও মেলা কমিটির সমন্বয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নেয়া হচ্ছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সীতাকুণ্ড পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দিরকে ঘিরে এ মেলা হবে চলবে ২মার্চ পর্যন্ত।
মেলাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশ থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছে। চলছে মেলায় ষ্টলের তৈরির কাজ। পাহাড়ের পাদদেশ থেকে চন্দ্রনাথ মন্দির পর্যন্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এছাড়াও নিরাপত্তাসহ মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পলাশ চৌধুরী।
মেলায় প্রতিবছরের মত এবারো ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাধু-সন্নাসী ও দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে। কয়েক’শ বছরের প্রাচীন এই মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর এ মেলায় লাখ লাখ ভক্তের আগমন ঘটে।
এসময় তীর্থভূমি জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মহামানবের মিলন তীর্থে পরিণত হয়। ফলে এই মেলার নিরাপত্তা রক্ষায় প্রশাসনও যথেষ্ট তৎপর। ইতিমধ্যে মেলা কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, সীতাকুণ্ড কার্যকরী সভাপতি ইউএনও থানা প্রশাসনের সাথে বারবার মেলা কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকলে মিলে একটি সুন্দর-সুষ্ঠ মেলা সম্পন্ন করতে মেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ নিরলসভাবে কাজ করছে বলে দাবি করেন নেতৃবৃন্দ।
সীতাকুণ্ড কার্যকরী সভাপতি ইউএনও শাহাদাত হোসেন বলেন,‘মেলা কেন্দ্রিক সকল প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সীতাকুণ্ডে শিব চতুর্দশী মেলার প্রচলন শুরু হয় প্রায় ৩০০ বছর পূর্ব থেকে। যা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। ফাল্গুনী চতুর্দশী তিথিকে ঘিরে আয়োজিত মেলায় প্রতি বছর দেশ-বিদেশের লাখ লাখ তীর্থযাত্রীর আগমন ঘটে। প্রশাসন ও মেলা কমিটির সদস্যরা মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রায় ১২০০ ফুট উঁচুতে দাঁড়িয়ে আছে সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ মন্দির। ফাল্গুন মাসে শিবচতুর্দশী বা শিবরাত্রি উপলক্ষে করে দেশ-বিদেশের পুণ্যার্থীরা প্রতিবছরই এখানে আসেন। যদিও করোনা মহামারির কারণে এবার মেলায় তীর্থযাত্রীর আগমন অন্যবারের চেয়ে কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।