
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে ১৮টি বসতঘর। এতে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের সরলিয়া ঘোনা এলাকার মাঝরপাড়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুঁইছড়ি ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এম এ কাশেমের ঘরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। কিন্তু প্রেমবাজার থেকে সরলিয়া বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। বেলা ১২টায় বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় ২ ঘন্টা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে আগুনে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মো. আজাদ বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত আমাদের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আমাদের ফায়ার টিম ও এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে আকস্মিক অসুস্থ হয়ে পড়েন ইউপি সদস্য এম এ কাশেম। তিনি বর্তমানে নাপোড়া বাজারের পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আগুনে সিকান্দারের ২টি, আহমেদ শফির ৪টি, নুরুল আলমের বাপের বারির ৪টি, নোমান সওদাগরের ২টি, ইসমাঈলের বাপের বাড়ি ৩টি, ইয়াকুব আলীর ২টি সহ মোট ১৮টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ওই ১৮টি বসতঘরে ২১টি পরিবার থাকতেন।
ক্ষতিগ্রস্ত নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ করে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আমাদের ঘরে মা আর ছোট ভাই ছাড়া কেউ ছিল না। তাই কিছু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রাস্তা খারাপ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারেনি।’
আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুইছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল আজিম চৌধুরী। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) পুঁইছড়ি শাখার সদস্যরা।