ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চসিকের দোকান বরাদ্ধে অনিয়ম: দুদকের মামলায় খালাস পেলেন আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ জন

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

    .

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্মিত ২৩টি দোকান প্রভাব খাটিয়ে বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ তাদের অব্যাহতির এ আদেশ দেন।

মৃত্যুবরণ করায় এর আগে মামলার এজাহারের প্রধান আসামি সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

মামলার সকল আসামি অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তিনি বলেন, এ মামলায় মোট আসামী ছিল ২৪ জন। সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মৃত্যুর কারণে মামলা থেকে অব্যাহতি পান। দুদক চার্জশীর্ট প্রধানকালে আরও ৩জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে। বাকি ২০ জনের দুদক আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আমরা আদালতের কাছে সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত সব আসামিকেই বেখসুর খালাস চেয়ে আবেদন করলে আদালত সবাইকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, নগরীর মুরাদপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্মিত ২৩টি দোকান ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়। পত্রিকায় টেন্ডার ছাড়া, যাচাইবাছাই ছাড়া দোকানগুলো বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করে দুদক।

দুদকের তৎকালীন পরিদর্শক সামছুল আলম বাদি হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী প্রথমে আদালতে সাক্ষ্য স্মারক জমা দেন। পরে সামছুল আলম বদলি হলে মামলাটি দুদকের আরেক পরিদর্শক মো. মবিনুল ইসলাম তদন্ত করে তিনিও আদালতে সাক্ষ্য স্মারক জমা দেন।

মবিনুল ইসলামের সাক্ষ্য স্মারকে উল্লেখ করা হয়, মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী উক্ত দোকান ইজারা সংক্রান্ত পত্রিকায় কোন বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেননি। প্রতিটি আবেদনপত্রের ওপর নিজের মনগড়া দোকানের মূল্য ও মাসিক ভাড়া নির্ধারণ পূর্বক লিখিত বরাদ্দ আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে আরেক পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম আগের দুই তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য স্মারক পর্যালোচনা করে ২০০৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

এরপর মহিউদ্দিন চৌধুরীর রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলাটির কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর রিট পিটিশন সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দিয়ে মামলার কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট। এরপর মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট আদালত। আদালতের নির্দেশে দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগ পত্রে কেবিএম সিরাজ উদ্দিন, হাফেজ আহমদ ও খায়রুল আনোয়ার মৃত্যুবরণ করায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানানো হয়। এর আগে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যাওয়ায় ২০১৮ সালের ৩০ মে আদালত তাঁকে অব্যাহতি প্রদান করেন। পরে এজাহার নামীয় ২০ জন আসামি মূল বেনিফিশিয়ারি হিসেবে ২০টি দোকানের পজিশন গ্রহণ করে ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধের সাথে পরস্পর যোগসাজশে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যাক্তিরা হলেন- নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার মৃত ফারুক আহমদ চৌধুরীর ছেলে মো. জাহেদুল আলম চৌধুরী, পাঁচলাইশ থানাধীন সোনাপুর এলাকার মৃত আহমদ হোসেন চৌধুরীর ছেলে খোরশেদ আলম চৌধুরী, গরীবউল্লাহ শাহ হাউজিং সোসাইটির মৃত নবাব মিয়া চৌধুরীর ছেলে বখতিয়ার উদ্দিন খান, নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির এম এ মজিদের ছেলে এ এম মাইনুল হক ও তার স্ত্রী নাজনীন সুলতানা, লালখান বাজার চাঁনমারী রোড এলাকার বদিউল আলমের ছেলে মোবারক উল্লাহ, পাঁচলাইশের নাজিরপাড়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা দাম্মাপুকুর পাড়ের মো. ছায়দুল হকের ছেলে নেজামুল হক, মুরাদপুর এলাকার শাহজাহান খন্দকারের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম, হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ মুহুরী বাড়ির (বর্তমানে ১নং দক্ষিণ খুলশী) মৃত নুর হোসেনের ছেলে মো. ইউনুস, পাঁচলাইশের মুরাদপুর পিলখানা এলাকার মৃত মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে শেখ সরওয়ার্দী, দামপাড়া পল্টন রোডের মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, লোহাগাড়ার চুনতি মুন্সেফ বাজার সিকদার পাড়া এলাকার মৃত একরামুল হকের ছেলে মো. এরশাদুল হক, খুলশী থানাধীন জাকির হোসেন রোড, পূর্ব নাসিরাবাদের মৃত আবদুর রহমান ভূঁইয়ার স্ত্রী হাসিনা ভূঁইয়া, পাঁচলাইশের ওআর নিজাম রোডের মেহেদীবাগ এলাকার মৃত হাজী দুদু মিয়ার স্ত্রী নুর নাহার বেগম, কোতোয়ালী থানাধীন হরেশ চন্দ্র মুন্সেফ লেইনের আবুল খায়েরের ছেলে হাসান মুরাদ, পাঁচলাইশ থানাধীন খতিবের হাট এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে দিদারুল ইসলাম, এনায়েত বাজার এলাকার নুরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, পটিয়ার মুন্সেফ বাজার এলাকার আবুল হাশেমের স্ত্রী গোলমান আরা বেগম, বাকলিয়া ডিসি রোডের মো. শহিদুল আলমের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বেগম মিনু ও ফেনী সদর থানার শিলুয়া গ্রামের মুন্সী মিয়ার ছেলে মাহবুব মিন্টু।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print