
চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় জামিন বাতিল করে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের চার নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম আদালত।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মুজিবুর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো ৪ নেতা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মুর্তজা খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক পাভেল হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক নুর জাফর নাঈম রাহুল ও বন্দর থানা ছাত্রদল নেতা দেলোয়ার হোসেন অভি।
গত বছরের ২৯ মার্চ নগরীর কাজীর দেউড়ি বিএনপি দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে কোতোয়ালী থানা পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে নিন্ম আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন।
নগর বিএনপির সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু।
এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, গণবিচ্ছিন্ন এই সরকার খুন, গুম, হামলা, জুলুম, নির্যাতন, চক্রান্ত, গ্রেফতার ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন, ভিন্নমত দমন ও দেশবাসীকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাই। দেশের সচেতন ও বিবেকবান সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই সরকারের চরম ব্যর্থতা, অপশাসন এবং সীমাহীন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপি যখন জনগণকে সাথে নিয়ে সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসন এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন স্বৈরাচারী ভূমিকায় আবির্ভূত হয়ে সরকার মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র ও চরম দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে।
কোন কারণ ছাড়াই যখন তখন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠিয়ে নেতাকর্মীদের ভবিষৎ হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হয়েছে। নিজেদের দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করতে তরুণ নেতৃত্বকে নির্মূল করতে সরকার উন্মাদ হয়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মুর্তজা খান ও সহ-সাধারণ সম্পাদক পাভেল হাসান কে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেন নেতৃবৃন্দ।