বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন-এদেশের মানুষকে নিয়ে সরকার তালবাহানা করছে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে, গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়ার পর ক্রমে মানুষের আহার কেঁড়ে নিচ্ছে।
তিনি আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি ও সর্বগ্রাসী দূর্নীতির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও উত্তর জেলার যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশচুম্বী দামে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে কত মানুষ যে আজ অনাহারে আছে সে হিসাব সরকারের নেই। মানুষের জীবন আসে যায় কিন্তু তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ৭৪ সালেও আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল এবং জনগণকে দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। দেশের প্রতিটি বিপর্জয়ে আওয়ামীলীগ জড়িত। আজ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য এমন ভাবে বাড়ানো হচ্ছে যেন জনগণ তাদের শত্রু।
বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতি দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, জনগণের অধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন ছাড়া কোন গতি নেই। প্রতিটি ন্যায্য অধিকার আদায়ে মানুষ বিপ্লবী হয়েছে, রক্ত দিয়েছে, জীবন উৎসর্গ করেছে এবং সর্বপরি বিজয় অর্জন করে তার সুফল ভোগ করেছে। আর সেই সুফল শুধু আন্দোলনকারীরা একা করেনি, পুরো জাতি-ই সুফল ভোগের অংশীদার হয়। মানুষের ভোটের অধিকার, বলার অধিকার, চিকিৎসার অধিকার, খাওয়ার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে এই অবৈধ সরকার। তাদের প্রতিহত করতে আন্দোলনে আছে বিএনপি। সবাইকে এই আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে এই সরকারকে হঠাতে হবে। বিক্ষোভ সমাবেশে চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও উত্তর জেলা আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা থেকে নেতা কর্মীরা জড়ো হয়ে নাসিমন ভবনের মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয়, জেলা এবং উপজেলার নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব মোস্তাক আহমদ খান, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ্ব ছালাহ উদ্দিন, নুরুল আমিন, এনামুল হক এনাম, নূর মোহাম্মদ, কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, এডঃ আবু তাহের, এড. ইফতেখার মহিসন, মাষ্টার লোকমান, ইনঞ্জিয়ার বেলায়েত হোসেন, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, মোশারফ হোসেন দিপ্তি, মোহাম্মদ সাহেদ, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, নাজমুল মোস্তাফা আমিন, মনজুরুল ইসলাম, সেলিম চেয়ারম্যান, আবদুল গাফফার, আবু আহমেদ হাসনাত, জামাল হোসেন, লায়ন হেলাল উদ্দীন, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, ইসহাক চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, মামুন মিয়া, ইকবাল মিয়া, আবুল কালাম আবু চেয়ারম্যান, ইলিয়াস কাঞ্চন চেয়ারম্যান, শহিদুল্লাহ চৌধুরী, মাহবুব সাফা, কাজী সালাউদ্দিন, মুজিবুল হক চেয়ারম্যান, ইউসুফ নিজামী, জাকির হোসেন, শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, সালাউদ্দিন সেলিম চেয়ারম্যান, মোবারক হোসেন কাঞ্চন, আবু জাফর চৌধুরী, আহসানুল কবির তালুকদার রিপন, দিদারুল আলম মিয়াজী, আজমত আলী বাহাদুর, আলমগীর ঠাকুর, ডা: রফিকুল আলম চৌধূরী, হাসান মোহাম্মদ জসিম, শফিউল আলম চৌধূরী, শাহজাহান, আজগর, সরোয়ার সেলিম প্রমুখ।
