
ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে আটকেপড়া বাংলাদেশী জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’র ওপর রকেট হামলা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এতে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের এ জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান আরিফ মারা গেছেন বলে জানান বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী। তিনি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বুধবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে ৩৩৬ নং অলভিয়া বন্দরে নোঙ্গর করে রাখা জাহাজের ব্রিজে এ রকেট হামলা হয়।

নিহত মো. হাদিসুর রহমান আরিফ(৪৭) বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৩ নং হোসনাবাদ ইউনিয়নের মো. রাজা হাওলাদারের ছেলে।
হামলার পরই নাবিকরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন বলেও জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন আনাম।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের জলসীমায় আটকে পড়েছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি)র এই জাহাজটি। এতে ২৯ জন নাবিক রয়েছে বলে বিএসসি সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হল।
বিএসসি সূত্রে জানা যায়, সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়।
তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেন শিপিং কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ।
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট সাজিদ হুসাইন বলেন, ‘বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলা হয়েছে। এতে ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান (৪৭) মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া বাকি সবাই ভালো আছেন। সবার সাহসী তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে।
জানাগেছে, গত রবিবারও (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাহাজটি ওই বন্দরের সামনে নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল। জাহাজটি অলভিয়া বন্দর থেকে পণ্য বোঝাই করে ইতালির রেভেনা বন্দরে যাওয়ার কথা ছিল।
এর আগে, ২৬ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে যাত্রা করে তুরস্কের ইরেগলি হয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছে বাংলার সমৃদ্ধি। ২২ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি বন্দরে নোঙ্গর করে।