চট্টগ্রাম ওয়াসার মেগা প্রকল্প শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। এ শোধনাগারের দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৪ কোটি ৩০ লাখ লিটার।
আজ বুধবার দুপুরে প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রাম নগরীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা।অনুষ্ঠানে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনা পানি সরবরাহ প্রকল্প-২ এ যাবতকালে বাস্তবায়নকৃত সবচেয়ে বড় প্রকল্প।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে চট্টগ্রাম ওয়াসাতে দৈনিক পানির উৎপাদন সক্ষমতা ৩৬ কোটি লিটার থেকে ৫০ কোটি লিটারে উন্নীত হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন হ্রাস পাবে এবং এই উৎপাদিত পানি দ্বারা চট্টগ্রাম ওয়াসার সার্ভিস এরিয়ার চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এছাড়া প্রায় ৭০০ কিলোমিটার ডিস্ট্রিবিউশন পাইপলাইন স্থাপন বা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে পাইপলাইন লিকেজের পরিমাণ কমে যাবে। এতে রাজস্ব বহির্ভূত পানির পরিমাণ (সিস্টেম লস) অনেকাংশে হ্রাস হবে এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে একটি আধুনিক পানি সরবরাহ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে।
তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে চট্টগ্রাম মহানগরীর ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ঊর্ধ্বমুখি হয়েছে; যা পানিচক্র, বাস্তুসংস্থান, পরিবেশ এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পানি সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আরও নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের অধীন রয়েছে দৈনিক ১৫ কোটি লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন ইনটেক নির্মাণ, দৈনিক ১৪ কোটি ৩০ লাখ লিটার উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন পানি শোধনাগার নির্মাণ, ২ কোটি ৪৮ লাখ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জলাধার নির্মাণ, ৩০ লাখ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন সুউচ্চ জলাধার নির্মাণ। ৩.৬৯ কিলোমিটার কনভেয়েন্স পাইপলাইন স্থাপন, ৩১.৬৮ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপন, ২টি স্লাজ ট্যাংক নির্মাণ, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন ও ৫৯টি ডিএমগ নির্মাণ ও ৭০০ কি.মি.
ডিস্ট্রিবিউশন পাইপলাইন স্থাপন।
জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। পানি শোধনাগার প্রকল্প-২-এর আওতায় রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে পানি উত্তোলন করে শহরে তা সরবরাহ করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ।
