
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৮ লাখ ৮০ হাজার শলাকা (পিস) সিগারেট ও ৪০ পিস ড্রাই টোবাকো জব্দ করেছে কাস্টম হাউসের এয়ারপোর্ট ও এয়ারফ্রেইট ইউনিট। এসময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা মোহাম্মদ তৈয়ব ও মো. হারুন রশিদ নামে দুই যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। বেআইনিভাবে আনা এসব পণ্যের মাধ্যমে সরকারের ১৩ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা হয়েছিল বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা।
আজ বুধবার (২৩ মার্চ) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সালাউদ্দিন রিজভী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশী চালিয়ে ৪টি কার্টনে ৮ লাখ ৮০ হাজার শলাকা (পিস) সিগারেট ও ৪০ পিস ড্রাই টোবাকো জব্দ করা হয়। এর মাধ্যমে ১৩ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাত পৌনে ৮টায় এয়ার এরাবিয়ার জি-৯৫২২ নামের একটি ফ্লাইট সারজাহ থেকে আসে। এসময় নিয়ম অনুযায়ী যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানিং করার সময় যাত্রী মোহাম্মদ তৈয়ব ও মো. হারুনুর রশীদের ব্যাগ তল্লাশি করা হলে এসব অবৈধ মালামাল পাওয়া যায়। এর মধ্যে মোহাম্মদ তৈয়বের কাছ থেকে ২৪০ মিনি কার্টন সিগারেট ও ৪০ পিস ড্রাই ট্যোবাকো এবং মোহাম্মদ হারুন রশীদের কাছ থেকে ২০০ মিনি কার্টনে ইজি ব্রান্ডের সিগারেট ও ২৫০ পিস ড্রাই ট্যোবাকো (পারফিউম সল্ট নিকোটিন) পাওয়া যায়। এ সময় তাকে আটক করা হয়।
কাস্টমস জানায়, শর্তসাপেক্ষে আমদানিযোগ্য উচ্চ শুল্কের এসব পণ্য বেআইনিভাবে বহন করে ১৩ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা হয়েছিল। শুল্ক আইন ১৯৬৯ এবং প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী আটক পণ্য রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।