
নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে চট্টগ্রামে পৌছেছেন আরও এক হাজার ৫৪৪ রোহিঙ্গা। বুধবার (৩০ মার্চ) বেলা ২টার দিকে ২০টি বাসে করে এক হাজার ২২ জন ও বিকেল সাড়ে ৫টায় ১২টি বাসে ৫২২ জন রোহিঙ্গা উখিয়া ডিগ্রি কলেজের ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে কক্সবাজার ত্যাগ করে রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় পৌছেন এ সব রোহিঙ্গা।
আজ ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে পতেঙ্গা থেকে জাহাজ যোগে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে হবেন রোহিঙ্গার দল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ এপিবিএনের এসপি মো. নাইমুল হক জানান, বুধবার (৩০ মার্চ) বেলা ২টা ও বিকেল সাড়ে ৫টায় দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে চট্টগ্রামের পথে রওনা দিয়েছে রোহিঙ্গাবাহী গাড়ি বহর। প্রথম বহরে ১০২২ জন আর দ্বিতীয় বহরে ৫২২ রোহিঙ্গা ট্রানজিট ক্যাম্প ত্যাগ করেছেন। তারা রাতে চট্টগ্রামে পৌঁছছেন এবং বৃহস্পতিবার সকালে সেখান থেকে ভাসানচরে পথে জাহাজে উঠার কথা রয়েছে।
রোহিঙ্গা নেতাদের মতে, উখিয়ার কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের লম্বাশিয়া, বালুখালী, মধুরছড়া, তাজনিমার খোলা ও জামতলীসহ বিভিন্ন শিবিরের রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে। সম্প্রতি ১০টি দেশের রাষ্ট্রদূত ভাসানচর এলাকা পরিদর্শন করার পর তা প্রচার পেলে রোহিঙ্গাদের মাঝে আরও উৎসাহ বেড়েছে। ঝুপড়ি বসবাস ছেড়ে উন্নত আবাসের লক্ষ্য এখন অনেকে আগাম নাম লেখাচ্ছেন ভাসানচরে যেতে।
এদিকে, ইতোমধ্যে প্রায় ২৯ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে আবাসন গড়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চের শেষ সময়ে ১৪তম দফা পর্যন্ত সাড়ে ৩০ হাজার রোহিঙ্গার অবস্থান হবে ভাসানচর। ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত ১২০টি গুচ্ছগ্রামে এক লাখ রোহিঙ্গা নেয়ার টার্গেট নিয়ে কাজ করছে সরকার।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সেনাদের নিপীড়ন হতে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে বিভিন্ন সময় আসেন আরও সাড়ে তিন লাখ। সব মিলিয়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফ শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছেন।