দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ফের বাড়ানো হয়েছে। আজ রবিবার (৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বেসরকারিখাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১ হাজার ৩৯১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ৪৮ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে।
নতুন এ দাম আজ রবিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে। এর আগে গত ২ মার্চ ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১ হাজার ২৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
জানাগেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বেড়েছে এলপি গ্যাসের দর।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সব ধরনের জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে। এলপি গ্যাস সাম্প্রতিক বছরগুলোর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এপ্রিল মাসে (সৌদি আরামকো) যথাক্রমে প্রতি টন প্রোপেন ৯৪০, বিউটেন ৯৬০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। ২০১৪ সালের পর আর কখনও এতো বেশি দরে বেচাকেনা হয়নি রান্নার কাজে বহুল ব্যবহৃত জ্বালানি পণ্যটি।
বিইআরসির সদস্য (গ্যাস) মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করবে বিইআরসি। শুধু খুচরা বিক্রেতা কিংবা ডিলার নয়, বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেলে কোম্পানির বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বছরের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো এলপি গ্যাসের দর ঘোষণা করে বিইআরসি। তখন বলা হয়েছিল আমদানি নির্ভর এই জ্বালানির সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি মূল্য ধরা হবে। সৌদির দর উঠানামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অরপরিবর্তিত থাকবে। জানুয়ারি মাসে সৌদি সিপির দর ছিল প্রোপেন ৮৯৫, বিউটেন ৯২০ ডলার। যা চলতি মাসে বেড়ে প্রোপেন ৯৪০, বিউটেন ৯৬০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।