
এবার চট্টগ্রামেও পহেলা বৈশাখের সকল অনুষ্ঠান ঢাকার মত দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপ)১১টি নির্দেশনা জারী করেছে।
পুলিশের এক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোট ১১টি নির্দেশনা মেনেই বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উদযাপন করা হবে।
আজ বুধবার সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (জনসংযোগ) স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
নির্দেশনাসমূহ হলো— সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দুপুর ২টার মধ্যে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আগতদের মুখোশ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। ডিসি হিল ও সিআরবি এলাকায় দর্শকদের নির্ধারিত প্রবেশ ও বাহির পথ ব্যবহার করতে হবে। বিরক্তির উদ্রেক ও শব্দ দূষণকারী ভুভুজেলা, বাঁশি ইত্যাদি বাজানো হতে বিরত থাকতে হবে। বাজি-পটকা বহন ও ফোটানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, উৎসবমুখরতা যাতে জনউপদ্রবে পরিণত না হয় সেক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করতে হবে। বড় ব্যাগ, পোটলা ব্যাকপ্যাক বহন করা যাবে না। অনুষ্ঠান উদযাপনে আগত নারী, শিশু বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের প্রতি সৌজন্যমূলক আচরণ করতে হবে। সন্দেহজনক কোনও ব্যক্তি বা বস্তু দেখলে সাথে সাথে পুলিশকে অবহিত করতে হবে। যে কোনও ধরনের মাদকদ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকা। উৎসব প্রাঙ্গণে কোনও খাবারের দোকান স্থাপন করা যাবে না। উৎসবমুখর শান্তিপূর্ণ ও নারী শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে সব ধরনের নাগরিক সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।
এদিকে বাংলা নববর্ষকে বরণ ও পুরানো বছরকে বিদায় জানাতে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। দীর্ঘ দুই বছর পর আবারও বাংলা বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম। নগরীর ডিসি হিল, সিআরবির শিরীষতলা, শিল্পকলা একাডেমি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বর্ষ বরণের আয়োজন চলছে।
এছাড়া নগরীর বিভিন্ন স্থানে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে চলছে বর্ষবরণের আয়োজন। এরই মধ্যে সবধরনের প্রস্তুতিও সেরে নিয়েছেন আয়োজকরা। তবে পবিত্র রমজানের কথা মাথা রেখে এবারের বর্ষবরণ উৎসবের সকল আয়োজন করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে নতুন বছর ১৪২৯ বাংলাকে বরণ করা হবে। থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা।
নগরীর ডিসি হিলে সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ উদ্যোগের থাকবে নববর্ষকে বরণের অনুষ্ঠান। এছাড়া, সিআরবি’র শিরীষ তলায় চট্টগ্রাম নববর্ষ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে দুইব্যাপি এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নববর্ষের দিন থাকছে নানা আয়োজন।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে চলছে নানারকম প্রতিকৃতি ও মুখোশ তৈরির শেষ মুহুর্তের কাজ। বর্ষবরণকে ঘিরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আয়োজন করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও গ্রামবাংলার বিভিন্ন খেলাধুলার।