
জেলার সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির বেসরকারী একটি কন্টেইনার ডিপুতে স্বরণকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে রবিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ৪৩ জেনর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান ও চমেক পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত জেলা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দীন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শনিবার (৩ জুন) দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে রাসায়নিক পণ্যের কন্টেইনার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্ফোরণে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ কারখানাটির দুই শাতাধিক শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে পাঁচ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যান্টেনডেন্টস মনিরুজ্জামান (৩২), মমিনুল হকের (২৪) বাড়ি বাঁশাখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামে। তিনি ফরিদুল আলমের ছেলে। অন্যজন একই উপজেলার পূর্ব চারিয়ার নাপোড়া এলাকার মাহমুদুর রহমানের ছেলে মো. মহিউদ্দীন (২৪), ভোলা জেলার হাবিবুর রহমান (২৬), রবিউল আলম (১৯), বাঁশাখালীর চনপাড়ার এলাকার আবব্দুল মজিদের ছেলে। এর মধ্যে মহিউদ্দীন বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলের চতুর দিকের অন্তত ৪/৫ কিলোমিটার এলাকা বিকট শব্দে প্রচন্ডভাবে কেঁপে উঠে। এতে ঘর বাড়ি মসজিদ ও বিভিন্ন অফিস দোকান পাটের কাঁচের দরজা জানালা ভেঙ্গে পড়ে, ফাটল ধরেছে পাকা দেয়ালে। পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিসের কয়েকজন সহ কারখানাটির বহু শ্রমিক এখনো নিখেঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কমপক্ষে ২১ জন কর্মী। এছাড়া এক পুলিশ কনস্টেবলের পা বিচ্ছিন্নসহ অন্তত ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ১৩০ জনকে।
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে ইউনিট আরও বাড়ানো হয়। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের ১৮৩ কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি ও ফেনীর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, বান্দরবান থেকে এসে সেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধে আহত ও মৃতদের আনা নেওয়ার কাজে চারটি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে।
