
চট্টগ্রামে লাগাতার বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে ৪ জনের মৃত্যুর পর প্রাণহানির ঠেকাতে খোলা হয়েছে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র। সন্ধ্যা পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৩২টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বা পাহাড়ের ওপর বসবাসকারীরা যাতে সরে গিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে সে জন্য
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ শনিবার (১৮ জুন) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, কাট্টলী ও চান্দগাঁও সার্কেলে এসব আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার প্লাবণ কুমার বিশ্বাস।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় আকবর শাহ থানার বরিশাল ঘোনা ও রাত ৩টার দিকে ফয়েস লেকের বিজয় নগর এলাকায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ নারী পুরুষ নিহত ওে কয়েকজন আহত হয়।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী- নগরীর খুলশী, পাহাড়তলী, আকবরশাহ এলাকার ঝিল-১, ২ ও ৩ নম্বর এলাকা, এ.কে খান রোড, বিশ্ব কলোনি, ফিরোজশাহ, ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট এলাকা, মতিঝর্ণা, বাটালি হিল, জিয়ানগর, রউফাবাদ, শান্তিনগর, ট্যাংকির পাহাড়, মুজিবনগর, আমিন জুট মিলস এলাকা, মধ্যমনগর ও বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংকরোড এলাকায় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
স্টাফ অফিসার প্লাবণ কুমার বিশ্বাস বলেন, গতকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জেলা প্রশাসের পক্ষ থেকে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে মাইকিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে খোলা হয়েছে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অন্তত ৩২ পরিবারের সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমাদের ভলান্টিয়ার রয়েছে। কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ দেখালে আমাদের ভলান্টিয়াররা তাদের সেখানে নিয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি ঝুঁকিপূর্ণভাবে যারা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে তাদের সরিয়ে আনতে।