ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

কোর্টহিল পাহাড়ে ধস ও ফাটল: পরিদর্শনে বিশেষজ্ঞ দল

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানাধীন কোর্ট হিল (সাবেক পাহাড়ে পরীর পাহাড়) ধস ও ফাটল দেখা দিয়েছে।

আজ বুধবার (৩০ জুন) বিকেলে বিষয়টি জানাজানির পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কারিগরি টিম, পরিবেশ অধিদপ্তরের টিম, গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী সহ একটি টিম পাহাড়ের ধসে পড়া স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পরীর পাহাড় (কোর্টহিল) অ্যাডভোকেট ক্লার্ক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডর সমিতির স্থাপনার পিছনে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে। খবর পেয়ে বিকেলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তরের , গণপূর্ত বিভাগকে জানালে সংশ্লিষ্ট বিভাগের টিম ছুটে যায়।

এ সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ও চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম জেলা জজ (নেজারত) খায়রুল ইসলামও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানান, পরীর পাহাড়ের ধসে পড়া স্থান পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস, গণপূর্ত বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল অতিদ্রুত রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও সংস্কারের পরামর্শ প্রদান করেন। সে মোতাবেক পরীর পাহাড়ের ধস প্রতিরোধে এবং ধসে পড়া স্থানের ক্ষতি প্রশমনে অতিসত্বর রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য গণপূর্ত বিভাগকে অনুরোধ করা হয়।

এদিকে যৌথ পরিদর্শক দল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল স্থাপনাসমূহের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাসমূহ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শক দল আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে ঝুঁকিপূর্ণ এসকল বহুতল স্থাপনার কারণে পরীর পাহাড় এলাকায় যে কোন সময় মারাত্মক পাহাড় ধ্বসসহ ভূমিকম্পে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। যুগ্ম জেলা জজ (নেজারত) জেলা জজ আদালত, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভবনের আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসমূহ দ্রুত অপসারনের নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম সম্ভাব্য পাহাড়ধ্বস ও ভূমিধ্বস হতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধকল্পে অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাসমূহ স্বীয় উদ্যোগে অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

জেলা প্রশাসন জানায়, এই পাহাড়ে রয়েছে চট্টগ্রামের প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। এছাড়া এখানে রয়েছে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, জেলা ও দায়রা জজ আদালত সহ মোট ৭৬টি আদালত। এই পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম শাখা, সাব রেজিস্টি অফিস এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস। ১৯৭৭ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক পরীর পাহাড়ের ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমি থেকে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নামে ১২.৯০ শতক জমি লিজ দলিলমূলে বরাদ্দ প্রদান করেন। তারপর থেকে কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি খাস জমি বেদখল করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এ পর্যন্ত ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি। পাহাড়ী ঢালে অনুমোদনহীন এসব ভবনের চাপে পরীর পাহাড়ে ধ্বস এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সীমানা দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print