ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পশুর চামড়া কিনতে নেই আগ্রহ, বিনামূল্যেও নিচ্ছে না কেউ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

কোরবানি দেওয়া পশুর চামড়া কিনতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। গরুর চামড়া কিনতে কিছুটা আগ্রহ থাকলেও খাসির চামড়ার ক্ষেত্রে তা যেন একবারেই নেই। ফলে ১০-১৫ টাকা পিসেও কোনো মৌসুমি ব্যবসায়ী খাসির চামড়া কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ক্ষেত্র বিশেষ বিনামূল্যে খাসির চামড়া দিলেও কেউ তা নিতে রাজি হচ্ছেন না।

আজ রোববার (১০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বাড্ডা ও রামপুরা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির পর খাসির চামড়া নিয়ে বসে আছেন মানুষজন। কিন্তু মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কম-বেশি দামে গরুর চামড়া কিনলেও খাসির চামড়ায় একদমই হাত দিচ্ছেন না। আবার কেউ সামান্য আগ্রহ দেখালে ১০০-১৫০ টাকার চামড়ার দাম ১০-১৫ টাকার বেশি দিতে রাজি হচ্ছেন না। অনেকে বিক্রি করতে না পারায় চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা সাঈদুর রহমান এবার একটি গরু ও খাসি কোরবানি দিয়েছেন। কম দামে গরুর চামড়া বিক্রি করতে পারলেও খাসির চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না।

.

সাইদুর রহমান বলেন, গরুর চামড়াটি কোনো রকমে ২৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু খাসির চামড়াটা বিনামূল্যে নিচ্ছে না মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ভেবেছিলাম চামড়া দুইটি বিক্রি করতে পারলে টাকাগুলো গরিব মানুষদের দিয়ে দেব। কিন্তু এখন তো উল্টো বিপদে পড়েছি। এই খাসির চামড়ার এখন কী করব। কাউকে না দিতে পারলে তো কিছুক্ষণ পর পচে দুর্গন্ধ বের হবে।

রামপুরা এলাকার বাসিন্দা মো. হালিমও একটি গরু ও ছাগল কোরবানি দিয়েছিলাম। গরুর চামড়াটি ৩০০ টাকায় বিক্রি করতে পারলেও খাসির চামড়া কেউ কিনছে না। পরে অনেক জোরাজুরি করে বিনামূল্যে খাসির চামড়াটি এক মৌসুমি ব্যবসায়ীকে দিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে মৌসুমি চামড়ার ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূল চামড়ার ব্যবসায়ীরা তাদের খাসির চামড়া নিতে না করে দিয়েছে। আর কেউ নিয়ে গেলও তারা কিনছেন না। ফলে তারা এবার খাসির চামড়া কিনছেন না।

রাজধানীর রামপুরা ও বাড্ডার বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশুর চামড়া কিনছেন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মো. হেলাল। খাসির চামড়ার অনীহার বিষয়ে তিনি বলেন, একটি খাসির চামড়া বিনামূল্যে নিলেও এটি প্রক্রিয়া করতে পায় ৫০ টাকার মতো খরচ পড়ে। এরপর মূল চামড়া ব্যবসায়ীর কাছে এই চামড়াটা নিয়ে গেলে তারা ২০-৩০ টাকাও দাম দিতে চান না। তাহলে আমরা এই চামড়া নিয়ে কী করব। এমনিতেই আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে চামড়ার ব্যবসায় খুব খারাপ অবস্থা চলছে। গরুর চামড়া যদি বড় হয় তাহলে কোন রকম কেনাবেচা করে কিছুটা আয় করা যায়। তবে খাসির চামড়ায় বিন্দুমাত্র চাহিদা নেই।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, গরুর চামড়ার তুলনায় খাসির চামড়া অনেক ছোট। যেহেতু আমাদের ব্যবসাটি আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করে, সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে খাসির চামড়ার কোন চাহিদা না থাকায় আমরা খাসির চামড়া এবার কিনছি না। আর কিনলেও তা খুব অল্প পরিসরে। তাই খাসির চামড়া এবার বলতে গেলে কোন দামই উঠেনি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print