ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

জার্মান শিল্পী দম্পতির হাতের ছোঁয়ায় নান্দনিক সেজেছে চবি শাটল ট্রেন

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

সাইফুল ইসলাম শিল্পী:

শহর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম বাহন শাটল ট্রেন। ১৯৮০ সালে চালু হওয়া বাংলাদেশ রেলওয়ে সেই শাটল ট্রেন নতুন সাজে সেজেছে।

জার্মান আরইউএসবি আর্ট গ্রুপের প্রধান লুকাস জিলিঞ্জার ও তাঁর স্ত্রী লিভিয়া জিলিঞ্জারের শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় নান্দনিক শিল্পকর্মে সেজে উঠছে এই শাটল ট্রেন।

.

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে জার্মান শিল্পী দম্পতি সম্পূর্ন নিজেদের অর্থায়নে চবি শাটল ট্রেনের বগিগুলো রাঙিয়ে তুলছেন।

শহরের পুরাতন রেলওয়ে ষ্টেশনে ২২ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত চলমান এই কার্যক্রমে চবি’র চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি গ্রুপ তাদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন।।

শিল্পীদের নিজস্ব সৃজনশীল থিমের পাশাপাশি বগিগুলোতে চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সিআরবি, জাতীয় সংসদ ভবন ও সমুদ্রসহ বাংলাদেশের নান্দনিক সৌন্দর্য তুলে ধরছেন।

.

গত শুক্রবার থেকে নগরীর পুরাতন রেল স্টেশন প্ল্যাটটফরমে এই দম্পতি শাটল ট্রেনের বগিগুলোতে আঁকাআঁকি করছেন। শিল্পী দম্পতি নিজেদের ভালোলাগা থেকেই নিজেদের অর্থায়নেই শাটল ট্রেনের বগিগুলো রাঙিয়ে তুলছেন বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের এ কাজে সহযোগিতা করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের একদল শিক্ষার্থী।

জানতে চাইলে লুকাস জিলিঞ্জার বলেন, “এটা আমার আবেগের জায়গা। আমি অত্যন্ত আনন্দিত কারণ আমি কাজটি করতে পারছি ছবি আঁকার কাজ প্রায় শেষ।  রেল ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ সুযোগ দেওয়ার জন্য। এটি একটি ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পাস শহর-গ্রাম ঘুরে বেড়ায় ট্রেন এতে যে ছবি থাকছে তা ধনী-গরীব ছোট-বড় সবাই দেখতে পারবে বিনা খরচে। যা দেখে সবাই মুগ্ধ হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান জানিয়েছেন, প্রায় ৪ মাস আগে জার্মান শিল্পী লুকাস জিলিঞ্জার ও তার স্ত্রী লিভিয়া জিলিঞ্জার চবি উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে শাটল ট্রেনের বগিগুলো নান্দনিক শিল্পকর্মে সাজানোর প্রস্তাব দেন। সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

.

তিনি বলেন, ‘আগেও ট্রেনের বগিতে নানা শিল্পকর্ম অঙ্কিত ছিল। সেগুলো পুরনো হয়ে যাওয়ায় নতুন করে বগি সাজানোর পরিকল্পনা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের। জার্মান শিল্পীদের প্রস্তাব পাওয়ায় তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সহায়তা করছেন। জার্মান শিল্পিরা নিজের অর্থায়নেই এ কাজ করছেন।

শাটলের যাত্রী চবি শিক্ষার্থী ফারহানা খানম বলেন-শাটলের রংয়ের পরিবর্তনের পাশাপাশি আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক মনমানসিকতার পরিবর্তন হোক শাটলের ভিতরে মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। শাটল ট্রেনের বগি বৃদ্ধি করা হোক।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম নগরী থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলাচল করা শাটল ট্রেনের বগিগুলো নান্দনিক শিল্পকর্মে সাজিয়ে তুলছেন জার্মান শিল্পী দম্পতি। নগরীর পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফরমে এ কার্যক্রম চলছে। শিল্পীদের নিজস্ব সৃজনশীল থিমের পাশাপাশি বগিগুলোতে চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যসহ বাংলাদেশের নান্দনিক সৌন্দর্য তুলে ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান হাটহাজারী উপজেলায়। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এখানে শহর থেকে শাটল ট্রেন সার্ভিস চালু হয় ১৯৮০ সালে। শিক্ষার্থীদের বহনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত জোড়া ট্রেন চলাচল করে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন প্রায় ১০-১২ হাজার শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন শাটলে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print