চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় দুই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। জেলার রাউজান উপজেলা এবং নগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে পুলিশ দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত দুই যু্বক হলেন- সজল বড়ুয়া (২৮) ও অরিত্র ঘোষ (২১)।
পুলিশ জানায়, রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নে নিজ ঘরে তীরের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলে সজল বড়ুয়া (২৮) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। তবে কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জয়নগর বড়ুয়া পাড়ার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া যুবক সজল বড়ুয়া ওই এলাকার মৃত নির্মল বড়ুয়ার ছেলে। ৩ ভাই এক বোনের পরিবারে সজল সবার বড়।
স্থানীয়রা জানান, নিহত সজল বড়ুয়া অনেক বছর প্রবাসে ছিলেন। কয়েক বছর আগে দেশে চলে আসার পর আর যায়নি। পরে চট্টগ্রাম শহরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। গত এক বছর ধরে তিনি ঘরে আছেন। সারাদিন মোবাইল-কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। ধারণা করা হচ্ছে তিনি ইন্টারনেটভিত্তিক গেমসে আসক্ত ছিলেন।
নিহতের ছোট ভাই সজীব বড়ুয়া জানান, তার বড় ভাই সজল বড়ুয়া ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় যাওয়ার জন্য ভারতে ভিসা প্রসেসিং করতে যান। কিন্তু সেখান থেকে তার ইউরোপ যাওয়া হয়নি। তাছাড়াও বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে তার পরিবার ঋণগ্রস্তও ছিলেন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রশিতে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন।
এদিকে নগরী কোতোয়ালী থানার আসকার দীঘির পাড় এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে অরিত্র ঘোষ (২১) নামে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আত্মহননকারী অরিত্র আসকার দীঘির পাড় এলাকার কাঁচা বাজার মহণ্ডা আলয়ের স্বপন ঘোষের সন্তান। তবে কি কারণে অরিত্র আত্মহত্যা করেছে সেটা জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, অরিত্র দাশ এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, অরিত্র দাশ নামে এক যুবককে তার মামা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা আছে।
