
চট্টগ্রামের পটিয়া কালারপুল অহিদিয়া আখতারুজ্জামান সেতুসহ সারাদেশে ১০০টি সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার ( ৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ সেতুর উদ্বোধন করেন। এসময় যান চলাচলের জন্য দেশের আরও ৯৯টি সড়ক সেতু উদ্বোধন করেন তিনি।
কালারপুল অহিদিয়া আখতারুজ্জামান সেতু উদ্বোধনের পর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে চট্টগ্রামের পটিয়াবাসীর।
১৮০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সেতুটি চালু হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও নগরীর সঙ্গে পটিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাইলফলক রচিত হচ্ছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রান্তে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, পটিয়া আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, বোয়ালখালী আসনের এমপি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।
জানাগেছে, ১৫ বছর আগে পটিয়ার কালারপুল সেতু বার্জের (নৌযান) ধাক্কায় বিধ্বস্ত হয়েছিল। এরপর ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় গার্ডার সেতু। সেতুটি চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে শিকলবাহা খালের পূর্ব তীরসহ এই জনপদের প্রায় অর্ধশত ভারী শিল্প কারখানার স্থবিরতা কেটে যাবে। ২০০৭ সালে বেইলি সেতু বিধ্বস্ত হওয়ার সাত বছর পর ২০১৪ এখানে আরও একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ওই সময়ের যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সেতুটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু নির্মাণকাজে অনিয়মের কারণে বছর না ঘুরতেই ভেঙে পড়ে সেতুর একাংশ। এরপর পটিয়া আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর চেষ্টায় গার্ডার সেতু নির্মিত হয়।
জানা গেছে, একশ’ সেতুর মধ্যে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতেই রয়েছে ৪২টি। ১০০ সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৮৭৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। সেতুগুলোর দৈর্ঘ্য ৫০ থেকে ২৫০ মিটার।
উদ্বোধন হওয়া সেতুর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ময়মনসিংহে ছয়টি, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে পাঁচটি করে, ঢাকায় দুটি ও কুমিল্লায় একটি রয়েছে। ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুগুলো নির্মাণ করেছে সরকার।