
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছে। সে পলাতক আসামি, এখন আবার প্রধানমন্ত্রী হতে চায়। তাদের স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না।
তিনি আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আগামী ৪ ও ৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন. বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বিভিন্ন সমাবেশে দেশের বিদ্যুৎ ও রিজার্ভ নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। অথচ বর্তমানে দেশের রিজার্ভ আছে ৪৯ বিলিয়ন ডলার। অপরদিকে, বিএনপির আমলে রিজার্ভ ছিল মাত্র সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার। দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। মির্জা ফখরুল এখন মিথ্যা শেখানোর শিক্ষক। তারা জ্বলন্ত ল্যাম্প পোস্টের নিচে হারিকেন হাতে নিয়ে বিদ্যুৎ সংকটের মিছিল করে। তাদের নেতারা শিশু বক্তা মাদানির মত হুঁশ হারিয়ে ফেলছেন।
সভায় মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন, বিএনপি মিথ্যাবাদী দল। তারা মিথ্যা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী দলকে সন্ত্রাসী বললে তাদের গা জ্বালা করে। এ বিএনপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার বহু পরিকল্পনা ও চেষ্টা করেছে। কিন্তু আল্লাহ রক্ষা করেছেন। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন- আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়া গর্বের বিষয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আপনারা ভেবে দেখুন কি ছিল বাংলাদেশ আর এখন কি হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে তিন বছরের মধ্যে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। তিনি বলেন, তাদের নেতা তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে। পলাতক আসামি, এখন আবার প্রধানমন্ত্রী হতে চায়। তাদের স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না।
বিএনপির আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিপর্যয় ঘটেছে। কিন্তু শেখ হাসিনার হাত ধরে সকলের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আর আমাদেরকে কেউ ভিক্ষুকের জাতি বলে না। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বে মন্দা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এ সমস্যা কাটিয়ে উঠবো। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি, তাই তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি চায় না। যতদিন শেখ হাসিনা আছে ততদিন বাংলাদেশের মানুষের কোনো চিন্তার কারণ নেই। বিএনপির জামায়াতের মিথ্যাচারে দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হবে না।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর শাহিন, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি, সাহদাত তসলিম, যুগ্ম-সাধারণ বদিউল আলম বদি ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, সহিদুল হক রাসেল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ দফতর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট প্রমুখ।