
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন,ভাষা আন্দোলন বর্তমান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধু ভাষার মধ্যে দিয়ে সীমাবদ্ধ ছিল না। ৪৮ সাল থেকেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এর বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ আন্দোলন শুরু করে। এরপর থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার জন্য আন্দোলন তীব্রতাকে তীব্র হয়। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত আন্দোলনকে থামানোর জন্য তৎকালীন পাকিস্তানি পাক—হানাদার বাহিনী একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা সৈনিকদের উপর গুলিবর্ষণ করলে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ অনেকেই প্রাণ হারায়। আজ আমরা তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মহান একুশে ফেব্রুয়ারি বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছি। এটা আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। বিশ্বের কোন দেশ নেই যে ভাষা প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে। একমাত্র বাঙালি জাতিকে ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে।
তিনি আজ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
নোমান বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির সূচনার মধ্যদিয়ে মূলত স্বাধীনতা সংগ্রাম। জনগণের ৭১ সালের মুক্তির সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদেশ অর্জিত কিন্তু বর্তমান সরকার জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নিয়েছে। জনগণের সকল অধিকার খর্ব করেছে। জনগণ সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত। বিএনপি ১০ দফা দিয়েছে। ২৭ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা দিয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এই সরকারের নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচন হবে না।বর্তমানে এদেশের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন চাই। জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি রাজপথে থাকবো। এই সরকারের পতনের মাধ্যমে জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত হবে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্দোলন, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ১/১১ মঈন—ফখরুদ্দিন সরকার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন সর্বোপরি বর্তমান ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সবকিছুর মূলমন্ত্র জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আমার অধিকার আমার দেশ, সে অধিকার আদায়ের জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। বায়ান্ন সালে আমারা ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছি, একাত্তর সালে আমারা মুক্তিযোদ্ধ করেছি মানুষের সাম্য, ন্যায় বিচার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধের মাধ্যামে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা পরবর্তি সে কাংঙ্খিত সুফল জনগন এখনো পায়নি। আজকে আমরা রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ টি প্রস্তাবনার কথ বলছি, রেইনবো ন্যাশানের কথা বলছি। এইটি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মর্ডান সংস্ককরন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম নাজিম উদ্দিন। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর,
নগর বিএনপি সহসভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান, ড. সিদ্দিক আহমেদ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম বদরুল আনোয়ার, পেশাজীবী নেতা প্রফেসর নজরুল কাদেরী, ডা. খুরশিদ জামিল, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি,বিএনপি নেতা আলহাজ্ব এম এ আজিজ, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, হারুন জামান, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল,আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরজ উল্লাহ,মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মহিলা দলের ফাতেমা বাদশা, মনোয়ারা বেগম মনি, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুল্লাহ আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক মো. সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমূখ।