
রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি:
রাঙামাটি শহরের বনরূপা এলাকায় ছুরিকাঘাত করে যুবককে হত্যার ঘটনায় মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যেই মূল হত্যাকারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তি এলাকা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার সময় হত্যাকারী যুবক সেলিম মাহমুদকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ (বিপিএম-বার)।
এর আগে শনিবার ভোরে প্রকাশ্য দিবালোকে এজাজুল হক রাব্বীকে ছুরিকাঘাত করে সেলিম মাহমুদ।
শনিবার বিকেলে রাঙামাটিস্থ পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসপি জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশের উদ্বর্তন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। এরপর পুলিশ সদস্যদের চারটি টিমে ভাগ করে পুরো শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে বেলা সাড়ে এগারোটার সময় বনরূপা এলাকা থেকে মূল ঘাতককে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারের পর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করে জানায়, পাওনা টাকা আদায় নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে এজাজুল হক রাব্বীকে হত্যা করে সে।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত যুবক এজাজুল হক রাব্বী ২০২১ সালের একটি মাদক মামলার আসামী ছিলো। মূলতঃ সেলিম মাহমুদের কাছ থেকে রাব্বী টাকা ধার নিয়ে সেগুলো ফেরত দেয়নি।
শনিবার ভোররাতে রাব্বীর সাথে দেখা হলে তার টাকাগুলো ফেরত চায় সেলিম। এনিয়ে উভয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। এসময় রাব্বীকে ছুরিকাঘাত করলে স্থানীয় দারোয়ান আমীর আলী তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে সেলিম তাকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আমীর আলীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার চাচা।
এদিকে বুকের বাম পাশে প্রচন্ড আঘাতে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ২৮ বছর বয়সী যুবক এজাজুল হক রাব্বী। সে বনরূপার ব্যবসায়ি মোজাম্মেল হকের দ্বিতীয় ছেলে বলে জানাগেছে।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত সেলিম মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।