
আজ রবিবার (৯ এপ্রিল) তৃতীয় চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে প্রথম দিনে সাক্ষী দিয়েছেন নিহত মিতুর বাবা মামলার বাদী ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ বলেন, প্রথম দিনে মামলার বাদী ও মিতুর বাবা মোশাররফ সাক্ষী দিচ্ছেন। এদিন প্রথমে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে একটি আবেদন করার কথা জানিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সময় চান। তবে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করার দাবি জানান। শুনানি শেষে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ দেন।
এদিকে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ উপলক্ষে প্রধান আসামি মিতুর স্বামী ও সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে সকালে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ মার্চ আলোচিত মামলাটিতে বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু।
উল্লেখ্য , ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
তবে মামলাটিতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।