ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মৃত্যুর আড়াই মাস পর আদালতের রায়ে নওমুসলিম আহমদের দাফন

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

নিহত নও মুসলিম যুবক আহমদ। (ফাইল ছবি)।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত আহমদ (২৯) নামে এক নওমুসলিম যুবকের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই মাসের বেশি সময় হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকার পর আজ ২৪ এপ্রিল ইসলামী শরীয়তাবেক দাফন সম্পন্ন হচ্ছে।

নিহত আহমেদের (পূর্বের নাম রতন দাশ) ধর্মপরিচয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় আজ আদালতের রায় তার নামাজে জানাজার শেষে দাফনের ব্যবস্থা চলছে।

আজ সোমবার দুপুরে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বিশ্বেস্বর সিংহ নিহত নওমুসলিম
আহমদকে ইসলামী রীতি মোতাবেক দাফনের পক্ষে রায় দেন।

আদালতে মামলা পরিচালনাকারী এডভোকেট এনামুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিহত নওমুসলিম আহমদের লাশ তার ধর্মীয় শিক্ষক আকরাম হোসেনের তত্ত্বাবধানে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক এখন করার জন্য বিজ্ঞ আদালত রায় দিয়েছেন।

নিহত যুবকের সহপাঠী সিরাজুল মাওলা মিলাদ পাঠক ডট নিউজকে বলেন, আমাদের সহপাঠী আহমাদ আগে হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকার একটি মাদরাসায় মাওলানা হারুন এজাহারের কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর থেকে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন ও ইসলাম ধর্মের সব নিয়ম-কানুন মেনে চলতেন।

তার মৃত্যুর পর আমরা বন্ধুরা তার দাফনের ব্যবস্থা করলে তার পরিবার হিন্দু ধর্ম মতে সংস্কারের দাবি করে। এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে তা আদালত পর্যন্ত করায়।

আজ আদালতে রায়ের পর আমরা তার দাফন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছি। রাতে জানাজা শেষে তার লাশ
নগরীর চৈতন্য গলিস্থ মহল্লার কবরস্থানে নও মুসলিম আহমদকে কবর দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, আদালতের মাধ্যমে এভিডেভিড করে এবং কালেমা পড়ে স্ব-ইচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর

চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে পটিয়া উপজেলার মনসা বাদামতল এলাকায় তেলবাহী লরির চাপায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী আহমদের মৃত্যু হয়।

তখন নিহত যুবকের মা সন্ধ্যারানী দাশ দাবি করে আসছেন তার ছেলে রতন দাশ হিন্দু ছিলেন। তাই হিন্দু ধর্মের নিয়ম মেনে শেষকৃত্য চিতায় সম্পন্ন করতে চান। কিন্তু তার সহপাঠীদের দাবী রতন দাশ
তার হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছে। তাই তার দাফন করা হবে। যুবক আহমদের শেষ যাত্রা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টির কারণে মৃত্যুর পর দিন ৩০ জানুয়ারি পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মার্চের ১৩ তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৩ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি হাইওয়ে থানা পুলিশ। সেদিন তারা আবারো অধিকতর তদন্তের জন্য সময়ের আবেদন করে আদালতে একটি চিঠি দিয়েছেন।

পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গত ২০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির এ নির্দেশ দেন।কিন্তু ২০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে এই দিন ছুটি থাকার কারণে সেদিন আদালত বন্ধ থাকায় আজ সোমবার (২৪ এপ্রিল) উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আজ আদালত দাফনের নির্দেশ দেন।

নিহত যুবক আহমদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার পূর্ব মায়ানী গ্রামে। তার বাবার নাম মনোরঞ্জন দাশ ও মায়ের নাম সন্ধ্যা রানী দাশ। ’

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print