
জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে আমদানীকৃত ১ হাজার ২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি। ডলার সংকটে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ৫০০ কোটি টাকার এসব গাড়ী বোঝাই ‘এমভি মালয়েশিয়া স্টার’ নামের জাহাজটি সম্প্রতি বন্দরে নোঙ্গর ফেলেছে। রেকর্ড পরিমাণ গাড়ির চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ৭ এবং ৮ নম্বর জেটিতে বার্থিং করেছে এমভি মালেয়শিয়া স্টার নামের এই জাহাজ।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ মে) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, এর মধ্যে ৫৬৯টি গাড়ি খালাস হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। বাকিটা হবে মোংলা বন্দরে। তিনি বলেন, দেশে বিশালবহুল গাড়ির আমদানি বাড়ছে। সর্বশেষ বন্দরে আমদানিকৃত গাড়ি নিয়ে আসা জাহাজ থেকে খালাস কার্যক্রম চলছে। এই জাহাজে করেই জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয়েছে ১ হাজার ২৬৫টি গাড়ি।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, ডলার সঙ্কটের কারণে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে দীর্ঘদিন গাড়ির এলসি খোলা বন্ধ ছিল। সম্প্রতি অর্থনীতির পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় ফের গাড়ির এলসি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরেই গাড়ি আমদানিকারকরা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে সক্রিয় হয়। সর্বশেষ জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে ১২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে এমভি মালয়েশিয়া স্টার নামক একটি জাহাজ। এই জাহাজ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে ৫৬৯টি গাড়ি। বাকি গাড়ি খালাস হবে মোংলা বন্দরে।
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়া গাড়িগুলো বর্তমানে শুল্কায়ন পর্যায়ে রয়েছে। এসব গাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। গাড়ির বিশাল এই চালান আমদানির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১২ থেকে ১৫ জন ব্যবসায়ী। বিশেষ করে আসন্ন বাজেটে আমদানি করা গাড়িতে শুল্কহার বাড়তে পারে- এই তথ্য থেকেই বেশি লাভের আশায় বাড়ছে গাড়ি আমদানি।
গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস্ ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে হলে গাড়ির ব্যবহার সচল রাখতে হবে। গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হওয়া এলসিগুলোতে এসব গাড়ি এসেছে। নতুন করে বাজেটকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোনো গাড়ি আসেনি।