ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মিরসরাইয়ে আ’লীগের মোশাররফ ও এলিট গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

মিরসরােইয়ে সংঘর্ষের ছবি।

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

মিরসরােইয়ে সংঘর্ষের ছবি।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ১০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার (১৭ জুন) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের মিয়াপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটকে দায়ী করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। তবে এলিটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তার ওপর হামলার ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। আগামীকাল রবিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আহবান করা হয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার সকাল ১১টা থেকে মিরসরাই উপজেলার মঘাদিয়া আওয়ামী লীগের পূর্ব নির্ধারিত একটি প্রতিবাদ সমাবেশ ছিলো। প্রতিবাদ সমাবেশটি শেষ হতে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়। এসময় এলাকার মিয়াপাড়া গ্রাম হয়ে গাড়ি ও মোটরবাইক বহর নিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।

মঘাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফায়েল উল্যাহ চৌধুরী নাজমুল অভিযোগ করেন, কোন কারন ছাড়া এলিটের বহর থেকে সমাবেশে গুলি ছোঁড়া হয়। এরপর উভয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে এলিটের গাড়ি বহর থেকে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি মোটরবাইক ভাংচুর করা হয়। বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গুলি করে আহত করা হয়। ছাত্রলীগ কর্মী সাকিব, নিশান ও রবিন আহত হয়। তাদের মধ্যে সাবিক এবং নিশান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অবশ্য এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট দাবি করেন, মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টারের নেতৃত্বে তার গাড়ি বহরে নেক্কারজনক হামলা চালানো হয়। এসময় চারটি গাড়িতে ভাংচুর চালায় তারা। আহত হয় অন্তত পাঁচ-ছয়জন নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে যুবলীগ নেতা আসিফ রহমান শাহীন, মোহাম্মদ আলি, রমজান আলী বাবলু, সওকত আজিম রিংকু ও মো. শাহাবদ্দিন। তিনি আরো দাবি করেন, ‘বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সংবলিত লিফলেট বিতরণ করতে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে মঘাদিয়া গিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মাষ্টার বলেন, পূর্ব নিধাতির একটি দলীয় অনুষ্ঠান ছিলো। অনুষ্ঠান শেষে যে যার মতো বাড়িতে চলে গেছে। বিকালে উপজেলার মিয়াপাড়া এলাকায় মঘাদিয়া নুরুল আবছার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুনামেন্টের প্যাক্টিস চলছিলো।  এসময় তাদের কোর্চ ছাত্রলীগ কর্মী রবিনকে ডেকে নিয়ে আমার লোক বলে মারধর করে। খবর পেয়ে আমি দ্রুত গিয়ে মিয়াপাড়া এলাকায় গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে এলিটের পিএস আসিফ রহমান শাহীন আমার উপর চড়াও হয়। খবর পেয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা একত্রিত হলে এলিটের গানম্যান এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে মঘাদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আনোয়ার বাপ্পির মোটরসাইকেলসহ একাধিক গাড়ি ভাংচুর করে এবং ছাত্রলীগের ৫ কর্মী আহত হয়।

তবে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামে ছাত্রদলের তারুণ্যের সমাবেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের প্রতিবাদে শনিবার মঘাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এসময় নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের গাড়িবহর থেকে সমাবেশে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গুলি ছোঁড়ে এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হয়।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘মিরসরাই আওয়ামী লীগে কখনো বিভক্তি ছিলো না। ইদানিং বিএনপি পরিবারের সদস্য এলিট এখানকার আওয়ামী মূলধারার শক্তি খর্ব করে বিএনপির এজেন্ড বাস্তবায়নের জন্য ঝামেলা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। শনিবার এলিটের বহর থেকে এক ব্যক্তি আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে।’

জানতে চাইলে মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ‘মঘাদিয়া ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকায় এলিট তার বহর নিয়ে মানুষজনের সাথে কথা বলছিলেন। এসময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাথে তাদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।’
গানম্যানের গুলি ছোঁড়ার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘যদি এটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত অস্ত্র এবং গানম্যান হন তাহলে নিরাপত্তার কারণে করতে পারেন। তবে এটি বৈধ অস্ত্র বা গানম্যান কিনা আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখবো।

তবে অস্ত্র ও গানম্যান সম্পর্কে যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট দাবি করেন, এটি তার বৈধ অস্ত্র ও গানম্যান। সরকার তার নিরাপত্তার কারণে বৈধ অস্ত্র ও গানম্যান দিয়েছে। গানম্যানের কারণেই তিনি শনিবারের ঘটনায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।

এদিকে শনিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার নাগাদ আওয়ামী লীগের সমাবেশে এলিটের বহর থেকে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ। সমাবেশ থেকে থেকে এলিটকে বিএনপি জামায়াতের এজান্ডা বাস্তবায়নকারী দাবি করে রবিবার (আজ) পুনরায় আরো একটি প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়।

অপরদিকে যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট সাংবাদিকদের জানান, তার এবং তার নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি আইনি পদক্ষেপ নিবেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print