
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যবৃন্দকে জড়িয়ে বানোয়াট তথ্য সম্বলিত একটি ভিডিও ইউটিউব ও ফেসবুকে আপলোড করার দায়ে কানাডা প্রবাসী নাজমুস সাকিব নামে এক ইউটিউবারকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫(২)/২৬(২)/২৯(১)/৩৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে তথ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে গতকাল রবিবার সিএমপির চকবাজার থানায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন মো. আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
যারা ওই ভিডিওতে লাইক, কমেন্ট,শেয়ার করেছেন এবং ভবিষ্যতেও শেয়ার করবেন তাদেরকেও আসামি করা হবে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, আমার প্রিয় নেতা ড. হাছান মাহমুদ এমপি কে রাজনৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ভাবে, হেয় প্রতিপন্ন, মানহানি ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার কুমানসে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন পূর্বক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে “নাগরিক টিভি” নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকে প্রিয় নেতার ছবি সম্বলিত নাম উল্লেখ করে ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করে।
প্রকৃতপক্ষে, উল্লেখিত ছবি সম্বলিত ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট। প্রকৃত অর্থে এটা কোন টিভি চ্যানেল নয়, এটি একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ মাত্র।
তাদের উল্লেখিত কর্মকান্ডের কারণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রকৃত নাগরিক টিভি’র কর্তৃপক্ষ আসামী কর্তৃক পরিচালিত ভুয়া ও অবৈধ নামধারী নাগরিক টিভির সাথে কোন সম্পর্ক নেই মর্মে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে প্রচার করেছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের মজুমদার জানান, মামলাটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এই ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলটির এডমিন নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ পেয়েছি তার বিরুদ্ধে আরও মামলা এবং লন্ডনে বসে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি চেষ্টাকারী একটি মহলের সাথে নিবিড়ভাবে যোগাযোগের অভিযোগ আছে। প্রধান আসামী নাজমুস সাকিবের স্থায়ী ঠিকানা ঢাকার বাসাবোতে ও গ্রামের বাড়ি রংপুর। আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি।