
সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ নেতৃবৃন্দ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত বিপ্লব উদ্যানের নাম ফলক মুছে দেয়ার এই ধরনের কাপুরষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শহীদ জিয়াউর রহমান ও বিএনপি পরিবার নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালিয়ে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য শহীদ জিয়াকে দেওয়া বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নিতে এবং কাজীর দেউড়ি জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম মুছে ফেলার জন্য অপচেষ্টা চালিয়েছে। শহীদ জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাসকে বিকৃত করে উপস্থাপন করেছে। এখন আবার নতুন করে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা শহীদ জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নের স্মৃতিবিজড়িত ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানের নামফলক কালী দিয়ে মুছে দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর অতর্কিত হামলায় এক অনিশ্চয়তার মধ্যে শহীদ জিয়া এই ষোলশহর বিপ্লব উদ্যান থেকেই পাক বাহীনির বিরুদ্ধে “উই রিভোল্ট” বলে বিদ্রোহের সূচনা করেছিলেন। অষ্টম ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের নিয়ে প্রতিরোধের মশাল জালিয়েছিলেন।
চট্টগ্রামের এই মাটি থেকেই জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েয়ছিলেন। এখানেই শাহাদাৎ বরণ করেছেন। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মিশে আছে শহীদ জিয়ার রক্ত। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হলে চট্টগ্রামবাসী তার কঠোর জবাব দিবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন- বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহ নেওয়াজ, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক নসরুল কাদির, এ্যাবের সম্পাদক প্রকৌশলী সেলিম জানে আলম, ড্যাবের সভাপতি ডা. জসিম উদ্দিন।