
চট্টগ্রামে কাস্টম ট্রেনিং একাডেমি সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) গোলাম কিবরিয়া হাজারী ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক।
অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদর বিরুদ্ধে প্রায় ৭ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদের এসব মামলা করে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দুটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ফেনী জেলার সদর থানাধীন মাস্টারপাড়া গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন হাজারীর ছেলে চট্টগ্রাম কাস্টমস ট্রেনিং একাডেমির সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া হাজারী (৬৮), তার স্ত্রী সেলিনা আকতার (৪৮) ও মেয়ে সাদিয়া আক্তার ফারহা (২৮)। বর্তমানে তারা চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ২২নং রোডের নাভানা সেন্টিফোলিয়া নামের একটি ভবনে বসবাস করেন।
প্রথম মামলায় গোলাম কিবরিয়া হাজারী ও তার মেয়েকে এবং দ্বিতীয় মামলায় গোলাম কিবরিয়া ও তার স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে। দুই মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২), ২৭(১) এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ করা হয়।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক আতিকুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া হাজারীর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে। ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট স্ত্রী-কন্যাসহ গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী জারি করে দুদক। পরবর্তীতে ২৭ সেপ্টেম্বর তারা সম্পদ বিবরণী জমা দেন।
পরবর্তীতে দুদক অনুসন্ধানে নিশ্চিত হন গোলাম কিবরিয়া দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৯১ হাজার ৬৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন এবং ৩ কোটি ৪০ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৯ টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদ জ্ঞাত আয় বহিভর্‚তভাবে অর্জন করেছেন।
পাশাপাশি নিজের অবৈধ আয় থেকে নিজের মেয়ে সাদিয়া আক্তার ফারহার নামে সম্পদ অর্জনে সহযোগিতা করেছেন। সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন কমিশন মামলার অনুমোদন দেয়। গতকাল মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের হয়।
অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী সেলিনা আকতার এবং গোলাম কিবরিয়াকে আসামি করা হয়। এ মামলায় সেলিনা আকতার দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার ৮৩৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন এবং ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৫ হাজার ১৮৫ টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অর্জন করেছেন। পাশাপাশি স্বামী গোলাম কিবরিয়া অবৈধ আয় থেকে স্ত্রীর স্থাবর অস্থাবর সম্পদ অর্জনে সহযোগিতা করেছেন বলে নিশ্চিত হন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা।