
নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম, চট্টগ্রাম মহানগর শা আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তরা বলেছেন- এই সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, মানুষের অধিকারকে ধ্বংস করেছে। একটা মানুষের যে নূন্যতম বেঁচে থাকার অধিকার, সে অধিকার থেকে সরকার বঞ্চিত করেছে। তাদের হাতে দেশের মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকালে মহানগরীর কাজীর দেউরী নুর আহমদ সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মীরসরাইয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া নুসরাতকে ছাত্রলীগের নির্যাতন, গ্রেফতার ও প্রথম আলোর রোজিনা ইসলামকে মানসিক নির্যাতন ও হয়রানি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জান্নাতুল কোবরাকে ডিজিটাল আইনে দুই বছর কারাবন্দি করে রাখার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন-চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে দেশের মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। তাদের হাত থেকে নারী, শিশু, পুরুষ, ছাত্রী, সাংবাদিকসহ কেউই রক্ষা পাচ্ছে না। মানুষের জীবন এখন চরম নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীদের সমালোচনা করলে অথবা দুর্নীতির খবর প্রকাশ করলেই নেমে আসে সহিংস আক্রমণ। বর্তমান সরকারের আমলে অর্ধশতাধিক সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। সত্য ঘটনা প্রকাশ করার কারণে প্রথম আলোর রোজিনাসহ অসংখ্য সাংবাদিক মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এক যুগেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনি হত্যার বিচার হয়নি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জান্নাতুল কোবরাকে দুই বছর কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। মিরেরসরাইয়ে ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া নুসরাতকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শারীরিক নির্যাতন করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এসব নির্যাতনের বিচার না হওয়ায় একের পর এক এই ঘটনাগুলো ঘটছে। দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন থাকলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটত না। তাই নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
মহানগর নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে, প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করআবুল হাশেম বক্কর বলেন, বাংলাদেশে যে পরিস্থিতিগুলো চলছে, এই পরিস্থিতি সভ্য সমাজের নয়। এটা সম্পূর্ণ একটি অসভ্য সমাজে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী আজকের আওয়ামী লীগ সরকার। তারা এই সমাজে ভয়ঙ্কর নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সারাদেশে যারা ধর্ষণ, অত্যাচার, অবিচারের সাথে যুক্ত রয়েছে তারা এই সরকারের আশ্রয় প্রশ্রয় পাচ্ছে এবং এ কারণেই তারা আরো বেশি অপকর্ম করতে উৎসাহিত হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, মানুষের অধিকারকে ধ্বংস করেছে। একটা মানুষের যে নূন্যতম বেঁচে থাকার অধিকার, সে অধিকার থেকে সরকার বঞ্চিত করেছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে, আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালীর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবদুল মান্নান, উত্তর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, সারোয়ার আলমগীর, কাজী সালাহউদ্দিন, চবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নসরুল কদির, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি. সেলিম মো. জানে আলম।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এম, মন্জুর উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য হারুন জামান, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপি নেতা একেএম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, ইদ্রিস আলী, আলমগীর নুর, ইউসুফ শিকদার, ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মাহবুব রানা, এড. জালাল উদ্দীন পারভেজ, ডা. ফেরদৌস আরা সালমা, ডা. রানা চৌধুরী, সৈয়দ আবুল বশর, যুবনেতা সরওয়ার উদ্দিন সেলিম, শাহাবুদ্দিন হাসান বাবু, জিয়াউর রহমান জিয়া, ফোরামের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন খান, প্রচার সম্পাদক মাঈনুদ্দীন খান রাজিব, ডা. জসিম উদ্দিন রাতুল, নারী নেত্রী জাহানারা বেগম, এড. আয়েশা আকতার সানজি, এড. আবিদা সুলতানা, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. জোনায়েদ রায়হান, আরশে আজিম আরিফ, বিএনপি নেতা আবু মহসিন চৌধুরী, ইউছুপ তালুকদার, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. শাহজাহান, লায়ন আনোয়ার হোসেন উজ্জল, ফোরামের সদস্য জাকির হোসেন, আলিফ দ্দিন রুবেল, মাহবুব খালেদ, এফ এ এফ রুমি, মো. মিল্টন, এন মো. রিমন, দুলাল মিয়া, ইকবাল হোসেন সুমন, বিপ্লব চৌধুরী বিল্লু, শহিদুল আলম রনি, আশিকুর রহমান, ফজলুল করিম, এড. তৌহিদুল ইসলাম, ফারুক খান প্রমূখ।