ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ডেঙ্গু ছড়িয়েছে দেশের ৫৭ জেলায়, চট্টগ্রামে ১১ জনসহ মৃতের সংখ্যা ৬৫ জনে

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকেই যাচ্ছে। মশাবাহিত এ রোগটি এখন পর্যন্ত দেশের ৫৭টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার (৭ জুলাই) পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১,২৯৮ এ।

স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৮২ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১০ জন ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন। এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৭২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।

উক্ত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় ডিজিএইচএস। এ তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৫ জন।

৭ জুলাই পর্যন্ত ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫১ জন ও চট্টগ্রামে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহ, রংপুর ও বরিশাল এ তিন বিভাগে একজন করে মৃত্যুবরণ করেছেন এ রোগে।

ঢাকা বিভাগের ১২টি জেলার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের সব জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া খুলনার ১০টি জেলায়, রাজশাহীর ছয়টি জেলায় এবং সিলেট বিভাগের দুইটি জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে ১,৫২৮ জনসহ মোট ২,১৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী এখন সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ডেঙ্গু থেকে এ পর্যন্ত ৯,০৬৮ জন আরোগ্য লাভ করেছে বলে জানা গেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য থেকে।

২০১৯ সালে রেকর্ড ১৭৯ জনের মৃত্যু ঘটে ডেঙ্গুতে। এর পরের বছর ২০২২ সালে দেশে সর্বোচ্চ ২৮১ জন ডেঙ্গুতে মৃত্যুবরণ করে।

গত বছর ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত হয় ৬২,৪২৩ জন, আরোগ্য লাভ করে ৬১,৯৭১ জন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাবছর নগর কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত আকারে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করেনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্তন পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ড. বেনজির আহমেদ বলেন, বর্তমান বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতার তৈরি হতে পারে, ফলে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি বাড়বে।

তিনি বলেন, “দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ায় আমরা একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এখন দেশের ১৭ কোটি মানুষই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকার পর ডেঙ্গুর পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ চট্টগ্রামে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাসেম বলেন, “আমরা ডেঙ্গু মোকাবেলায় সক্রিয়ভাবে মশা নিধনের প্রচেষ্টা করছি। আমাদের নিজস্ব বিভাগের পাশাপাশি বহির্বিভাগের কর্মীদের ব্যবহার করছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম চারজন মশানিধন কর্মী রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে তারা কাজ করছে। একইসাথে একটি মশা বিরোধী কর্মসূচী শুরু করেছে।

জনবল চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যদিও জনবল ১২০ থেকে বাড়িয়ে ৪০০ করা হয়েছে, আমরা যথাযথভাবে এ পরিস্থিতি সামলাতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছি। আমাদের নিজস্ব ল্যাবরেটরি না থাকায় আমরা মশা বিষয়ক জরিপ ও ওষুধ পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করছি।”

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনও।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপের মাধ্যমে চিহ্নিত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় তারা একাধিক ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান জানান, কার্যকরভাবে ডেঙ্গু মোকাবেলায় মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

“হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় অপারেশন চালানো হচ্ছে,” বলেন তিনি।  সূত্র : বিটিএস

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print