ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ইকোনমিক লাইফ প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন করলে দেশে প্রায় ৬৫ হাজার বাস মিনিবাস, ট্রাক, কভার্ডভ্যান বন্ধ হয়ে যাবে

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

সরকার সম্প্রীতি জারি করা যানবাহনের ইকোনমিক লাইফ প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন করলে দেশে প্রায় ৬৫,০০০ বাস মিনিবাস, ট্রাক, কভার্ডভ্যান বন্ধ হয়ে যাবে হোসেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবহন মালিকদের সংগঠন বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশন।

আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন পরিবহন মালিক নেতৃবৃন্দ।

লিখিত বক্তব্য তারা বলেন, উল্লেখিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে সেক্টরের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় লক্ষ লক্ষ মালিক শ্রমিক অর্ধাহারে অনাহারে খুবই কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করবে। তাছাড়া উল্লেখিত গাড়ীগুলো স্ক্র্যাপ ঘোষনা করলে সাধারণ মালিকের যেমন হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট হবে তেমনি গাড়ীগুলোর অনুকুলে সরকার গাড়ী আমদানী করলে হাজার হাজার কোটি টাকার মুদ্রা অপচয় হবে।

এ ধরনের বিনিয়োগ কোন ভাবে কাম্যহতে পারে না।

তারা বলেন, সরকারের আমদানী নীতি অনুযায়ী গাড়ীর ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশ আমদানী হয় বিধায় কোন যানবাহনই অচল থাকে না বরং ক্ষতিগ্রস্থ ইঞ্জিন বা ইঞ্জিনের পার্টস, বডি বা আনুসাঙ্গিক অন্যান্য পার্টস নতুন করে রিপ্লেসমেন্ট করলে সকল যানবানই সম্পূর্ণ রূপে বিআরটিএ এর ফিটনেস সার্টিফিকেট অনুযায়ী চলাচলের যোগ্যতা রাখে।
উপরোন্ত একসাথে গণ ও পণ্য পরিবহনে চালিত যানবাহন বাতিল করা হলে দেশে একপ্রকার গাড়ীর সংকট হবে এবং যেহেতু আগামী ৬ মাস পর জাতীয় নির্বাচন ও বর্তমানে অর্থনৈতিক মন্দাভাব বিরাজ করছে এই মুহুর্তে এই ধরনের আইন প্রয়োগ করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পরিবহন নেতারা বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ পুনঃনির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের সদন্য সচিব মনজুরুল আলম চৌধুরী (মঞ্জু)।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়নের যে কয়েকটি খাত রয়েছে তার মধ্যে পণ্য ও গণপরিবহন খাত অন্যতম।

এই খাতে জড়িত মালিকেরা লাভ লোকসানের হিসাব ব্যতিরেকে সরকারকে অগ্রিম ট্যাক্স দিয়ে পরিবহন ব্যবসা পরিচালনা করেন।

সরকারবিরোধী বিভিন্ন জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন, করোনা মহামারি, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া মন্দাভাবের সময় দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে পণ্য ও গণ পরিবহনের মালিক শ্রমিকেরা মৃত্যুকে পরোয়া করেননি। কিন্তু দূঃখের বিষয় বিগত বছর গুলোতে জ্বালানি তেলের মূল্য, গাড়ীতে ব্যবহৃত সকল প্রকার খুচরা যন্ত্রাংশের মূল্য এবং যানবাহনে ব্যবহত ডকুমেন্টে সকল প্রকার রেভিনিউ যেভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাস শেষে তা পরিশোধ করে একজন পরিবহণ মালিকের অবশিষ্ট বলতে আর কিছুই থাকে না।

তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালের ১৭ মে সরকার বাস মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং ট্রাক কভার্ডভ্যানের ক্ষেত্রে ২৫ বছর ইকোনমিক লাইফ নির্ধারণ করে দেওয়া মানে যানবাহন মালিকদের মরার উপর খড়ার ঘা। কারণ বর্তমানে একজন পরিবহন মালিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে যেভাবে ভাড়া হওয়ার কথা সে ভাবে ভাড়া হচ্ছেনা। একজন গাড়ির মালিক-চালক-সহকারীর বেতন ভাতা পরিশোধ করা দুরের কথা নিজেরাই অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

পরিবহন মালিকদের দাব, গাড়ির আয়ুস্কাল এর নীতিমালা প্রণয়নে বিভাগীয় পর্যায় থেকে মালিক প্রতিনিধির ক্র্যাপ নীতিতে সম্পৃক্ত করা ২০২৪-২০২৫ আর্থিক সাল থেকে ক্র্যাপ নীতি পুণঃ সংশোধন করে কার্যকর করা। বিআরটিএ কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশন তারিখ থেকে মেয়াদ নির্ধারণ এবং বিআরটিএ সার্ভার সচল করে ডকুমেন্টের হাল নাগাদ নবায়নের সুযোগ দেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক জহুর আহাম্মদসহ বিভিন্ন পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print