
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) আসনের উপ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে ১৫৬টি কেন্দ্রের এক হাজার ২৫১টি বুথে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ নেতা, সংসদ সদস্য ডা . আফছারুল আমিনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় প্রার্থী।
ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু নিউ টাইগারপাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। ভোট গ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে দলীয় লোকজন ও সমর্থকদের নিয়ে তিনি কেন্দ্রে আসেন। তবে এই কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি তেমন নেই। নেই লম্বা লাইন।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো.হুদা জানান, এই ‘কেন্দ্রে ৬টা বুথে ২৩১৯ ভোটার আছেন। তবে এখনো পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক ভোটার কেন্দ্রে এসেছেন।’ ১৭টি ভোট কাস্ট হয়েছে। হয়তো বেলা বাড়ার পর ভোটার আসবে।
এদিকে নগরীর দেওয়ানহাট পোস্তারপার বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে এই কেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি তেমন নেই। ৪টি বুথের মধ্যে পৌণে একঘন্টায় ভোট পড়েছে ১২টি।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ১৫৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ১৬-১৭ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেনন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ১৭-১৮ জন পুলিশ ও আনসার দায়িত্বে রয়েছে।। পুলিশ এবং এপিবিএনের সমন্বয়ে ৮ ওয়ার্ডে ৮টি মোবাইল ফোর্স থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ৪টি, র্যাবের ৪টি টিম রয়েছে (প্রতি ২ ওয়ার্ডে ১টি করে), বিজিবি রয়েছে।।
এই আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত সোনালী আঁশ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া ছড়ি, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী বেলুন ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া রকেট প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
উল্লেখ্য- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন। এ নির্বাচনে চার লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯২৯ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৮০ জন নারী। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দায়িত্ব পালনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনানুগ নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।