
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিসির বাসভবন ও বাসে ভাঙচুরের ঘটনায় দুইটি মামলা হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে হাটহাজারী থানায় এসব মামলা হয়। একটিতে বাদী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক ও আরেকটিতে বাদী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় চবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটহাজারী থানায় দুটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। চাঁদা দাবি ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।
মামলা দুটিতে সাতজন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেনের ছাদে হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর পর শিক্ষার্থীরা ঘটনার প্রতিবাদে ফটক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালাতে দেখা যায়। পরবর্তীতে একজনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যান। একপর্যায়ে তারা উপাচার্যের তিনতলা বাসভবনে ভাঙচুর শুরু করেন। ফুলের টব থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাব, কক্ষ, জানালায় ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা। এ সময় আসবাব বের করে বাসভবনের উঠানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করার পরপরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পরিবহন দপ্তরে মিছিল নিয়ে যান। পরে সেখানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য রাখা অন্তত ৫০টি বাস ভাঙচুর করেন। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ক্লাবের কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন। এরপর শাটল ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
পর দিন শুক্রবার বিকেলে উপাচার্যের দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনায় তিনটি পৃথক মামলা করা হবে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তবে সংবাদ সম্মেলনের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর দুইটি মামলা দায়ের করার কথা স্বীকার করে পুলিশ।