ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ফয়’সলেক থেকে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা : সেই ওসি মিজানের ১০ বছর কারাদণ্ড

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রামে বিনোদন কেন্দ্র ফয়সলেক থেকে তুলে নিয়ে কলেজছাত্রীকে হোটেল কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ব্রাক্ষণবাড়িয়োর সাবেক ওসি (বহিস্কৃত)মিজানুর রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাশাপাশি ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন। একই মামলায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। উভয় সাজা একসাথে কার্যকর হবে এবং ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি) অনুসারে আসামির হাজতবাস সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে বলে আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন।

আরও খবর : সাবেক ওসি মিজানুর রহমানের জামিন বাতিল

রায়ের সময় আসামি মিজানুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গোল চিহ্ন ওসি মিজান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ জুলাই নগরীর ফয়’স লেক এলাকা থেকে ইস্পাহানি স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে নিয়ে ফয়স লেকে ঘুরতে যায়। ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে গাড়িতে তুলে নগরীর চকবাজারে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে ছেলে মেয়ে দুজনকে আলাদা কক্ষে আটকে রেখে মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি বাথরুমের কাঁচ ভেঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে হোটেলের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ জুলাই মেয়েটির বাবা হুমায়ন কবির বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ওসি মিজান সহ তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। বাকি দু’আসামী হোটেলের কর্মচারী।

আরও খবর : চট্টগ্রামে তুলে নিয়ে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, ওসি কারাগারে

আদালত সূত্রে জানা যায়, হুমায়ন কবিরের দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে একটি ছিল নারী নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯ (৪)-খ ধারায়। আরেকটি মামলা ছিল, জোরপূর্বক মেয়েটিকে তুলে নিয়ে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগে দন্ডবিধির ৪২০, ১৭০ ও ৩৮৬ ধারায় দায়ের করা।

প্রথম মামলায় ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে ওসি মিজান সহ তিন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।ঘটনার পর প্রায় সাড়ে তিনমাস পলাতক থাকা ওসি মিজানুর রহমান ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠান। হাইকোর্টের আদেশে ২০১২ সালের জুলাই মাসে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ওসি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পরই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print