ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আরো স্যাংশনস দেবে, দিতে পারে, এটা তাদের ইচ্ছা : প্রধানমন্ত্রী

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন ভোট সম্পর্কে অনেক সচেতন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে এটা আমাদেরই দাবি ছিল। আন্দোলন করে আমরাই সেটা প্রতিষ্ঠিত করেছি। আজকে এখন তারা স্যাংশনস দিচ্ছে, আরো স্যাংশনস দেবে। দিতে পারে। এটা তাদের ইচ্ছা। আমাদের দেশের মানুষের যে অধিকার, তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার, শিক্ষা-দীক্ষা, সব মৌলিক অধিকারগুলো আমরাই নিশ্চিত করেছি। মানুষের সব রকমের মৌলিক অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল, বাংলাদেশ কিন্তু বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এখন আর বাংলাদেশে এখন দুর্ভিক্ষ নেই। মানুষের হাহাকার নাই। এখনকার বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ।

আজ শনিবার ভয়েস অব আমেরিকার শতরূপা বড়ুয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেছেন।

সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা সংস্করণের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছে।

সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে শতরূপা বড়ুয়া প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু-নির্বাচন, মানবাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নিয়মিত তাগিদ দিয়ে আসছিল। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ভিসানীতি কার্যকরে প্রথম পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছে। ২০২১ সালে র‌্যাবের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল তা এখনো বহাল আছে। এ ইস্যুগুলো অ্যাড্রেস করাসহ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা নিয়ে আপনারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার এটাই প্রশ্ন যে হঠাৎ কথা নেই, বার্তা নেই তারা আমাদের ওপর ভিসা স্যাংশনস দিতে চাচ্ছে কী কারণে? মানবাধিকারের কথা যদি বলেন বা ভোটের অধিকারের কথা যদি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ, আমরাই তো এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছি। আমাদের কত মানুষ রক্ত দিয়েছে এই ভোটের অধিকার আদায় করার জন্য। অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয়, সেজন্য যত রকম সংস্কার দরকার, সেটা আমরাই তো করেছি। ছবিসহ ভোটারতালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, মানুষকে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার কাজ তো আমরাই করেছি।

তিনি আরো বলেন, আমার ভোট আমি দেবো-যাকে খুশি তাকে দেবো, এ স্লোগান তো আমার দেয়া। আমি এভাবে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছি।… এখন মানুষ তার ভোটের অধিকার সম্পর্কে অনেক সচেকন। সেক্ষেত্রে হঠাৎ এ ধরনের একটা স্যাংশনস দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না।

তিনি আরো বলেন, আমার কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, র‌্যাব হোক, পুলিশ হোক বা যেটাই হোক, কেউ যদি কোনো রকম অন্যায় করে আমাদের দেশে কিন্তু তার বিচার হয়। এ বিচারে কেউ কিন্তু রেহাই পায় না। অনেক সময় কোনো কাজ তারা অতিরিক্ত করে, করলে সেটা আমাদের দেশের আইনেই কিন্তু বিচার হচ্ছে। যেখানে এরকম বিচার হচ্ছে, সেখানে এ স্যাংশন কী কারণে?

এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিদেশে যেতে হলে তাকে (খালেদা জিয়া) আদালতের কাছে অনুমতি নিতে হবে। আদালতের কাজের ওপর আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই। তবে হ্যাঁ, যেটুকু করতে পেরেছি তার জন্য সেটা হচ্ছে, সরকার হিসেবে ক্ষমতা আছে তার সাজা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে থাকার পারমিশন দেয়া হয়েছে। এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি নিজেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখন যদি তাকে বিদেশে যেতে হয় বাইরে তাহলে এখন যে তাকে বাসায় থাকার পারমিশন দিয়েছি, সেটা উইড্রো করতে হবে। তাকে আবার জেলে যেতে হবে। এবং কোর্টে যেতে হবে। কোর্টের কাছে আবেদন করতে হবে। কোর্ট যদি রায় দেয়, তখন সে যেতে পারবে। এটা হলো বাস্তবতা।’

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print