
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে পণ্যবাহী লাইটার জাহাজে চুরির অভিযোগে ফজলুল করিম শাকিল (২৩) নামে এক শ্রমিককে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালে কর্ণফুলী নদীর কালারপোল ব্রীজের নীচ (এস আলম জেটি) থেকে শ্রমিক শাকিলে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহত শাকিল মিরসরাই থানার জোরারগঞ্জ সাহেদ ডি নগর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য।
নিহত ফজলুল করিম শাকিল ভগ্নিপতি মো, বেলায়েত অভিযোগ করেন- আমার শ্যালক শাকিল এমভি তরিবুল নাজাত -৩ জাহাজের সুকানী ছিল। গতকাল রাত দেড়টা/দুইটার দিকে এস আলম গ্রুপের পণ্যবাহী (চিনি) জাহাজে চুরির অভিযোগে নিরাপত্তা কর্মীরা শাকিলকে মারধর ও নির্যাতন চালিয়ে জাহাজ থেকে নদীতে ফেলে বলে জানতে পেরেছি।
আজ সকাল ১০টা দিকে নৌ-পুলিশের একটি টিম কর্ণফুলী নদীর কালারপোল ব্রীজের নীচে এস আলম জেটি থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে। তার সুরতহাল রিপোর্টে শরীরে আঘাতে চিহ্ন, রক্তাক্ত দেহ এবং মাথা ফেটে যাওয়ার চিহ্স পেয়েছে। আমরা মামলা করার জন্য নগরীর সদরঘাট থানায় এসেছি।
চট্টগ্রাম নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফজলুল করিম শাকিল নামে আমাদের এক শ্রমিকের লাশ পুলিশ নদী থেকে উদ্ধার করেছে। শুনেছি সে জাহাজ থেকে পড়ে মারা গেছে। পরিবার বলছে তাকে নদী ফেলে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতন্ত্রের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশী তদন্তের পর আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
এদিকে নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসেন জানান, সকালে খবর পেয়ে নদী থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শুনেছি লাইটার জাহাজে পণ্য চুরির সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ধাওয়া খেয়ে রদীতে পাড়ে মারা গেছে এই যুবক। তবে এব্যাপারে তদন্ত করছে থানা পুলিশ।