
রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি :
রাঙামাটিতে পর্যটকবাহী ট্যুরিষ্ট বোটে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় ট্যুরিষ্ট বোটটির ৯৫ শতাংশই পুড়ে গেছে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটার সময় রাঙামাটির সুবলংয়ের বসন্ত এলাকায় সন্ত্রাসীরা এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
ঘটনার সময় উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা ছয়জন পর্যটকের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটকরা। পর্যটকরা সকলেই চাঁদপুর সদরের পাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানাগেছে।
বোটটির চালক গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুর পর্যটন ঘাট থেকে ৭ জনের একদল পর্যটককে নিয়ে কাপ্তাই হ্রদ দিয়ে সুবলং ঝর্ণায় যাওয়ার সময় স্বর্গছেড়া এলাকায় গেলে একদল পাহাড়ি সন্ত্রাসী বোটটিকে আটকিয়ে পর্যটকদের নামিয়ে দিয়ে বোট টি নিয়ে একটু দূরে গিয়ে পেট্টোল ঢেলে বোটটি জ্বালিয়ে দেয়। মুহুর্তের মধ্যেই ফাইভার বডির বোটটি পুড়ে যায়।
এই ঘটনায় আক্রান্ত ভীত সন্ত্রস্থ পর্যটকরা জানিয়েছেন, তারা মোট ছয়জন চাঁদপুর থেকে সাজেক হয়ে রাঙামাটিতে এসে তবলছড়ির ওমদামিয়া হিলের একটি হোটেলে উঠেছেন। সেখান থেকে শুক্রবার সকালে ১০টার সময় জনৈত গিয়াস উদ্দিনের বোটে করে সুবলং ঝর্ণা দেখতে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে স্বর্গছেড়া এলাকায় গেলে তিনজন পাহাড়ি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এসে তাদের বোট থেকে নামিয়ে দেয়। এসময় তাদের হাতে থাকা টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এরপর বোট চালককে সাথে নিয়ে বোটটি নিয়ে কিছুদুর গিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এদিকে আয়ের একমাত্র উৎস এই বোটটি পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা জ্বালিয়ে দেওয়ায় চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন জানিয়েছেন বোট মালিক আলাউদ্দিন টুটুল জানান, বোটটি সম্পূর্ন পুড়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তার আর কোনো আয়ের উৎস নেই।
রাঙামাটি সদর সার্কেলের পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আমরা খবরটি জেনে ঘটনাস্থলে গিয়ে বোটটিকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। এই ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত সেটি পুলিশ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।