ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

খাতুনগঞ্জ থেকে পেঁয়াজ উধাও : ঝুলছে ‘পেঁয়াজ নাই’ লেখা বোর্ড

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

সাইফুল ইসলাম শিল্পী :
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা সাথে সাথে দেশের পেঁয়াজের দাম একদিনের মাথায় কেজি প্রতি প্রায় দ্বিগুন হয়ে গেছে। আবার অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের পেঁয়াজের বাজার। গত কয়েক দিন ধরে পাইকারি বাজারে ১০৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল ভারতীয় পেঁয়াজ। আর খুচরায় বিক্রি হচ্ছিল ১১০ টাকা কেজি।

দেশের অন্যতম বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়তে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবর জানাজানি হওয়ার পর আড়তদাররা পেঁয়াজ বিক্রি কমিয়ে দেন। অনেক আড়তে ‘পেঁয়াজ নাই’ লেখা বোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছে।

পেঁয়াজ নাই লেখা বোর্ড।

আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে ঘুরে দেখা গেছে- যেসব আড়তে পেঁয়াজ রয়েছে সেগুলো দেশী এবং ভারতীয় গড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি এবং খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০টাকা কেজি।

ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে, এমন অযুহাতে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন বলে জানান খুচরা বিক্রেতারা। তাদের অভিযোগ খাতুনগঞ্জের প্রতিটি গুদামে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের মজুত আছে। তারপরও দাম বাড়ার বিষয়টিকে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে দাবি ক্রেতাদের।

জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, ‘শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১১০ টাকায়। যেটি আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিল ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা। অপরদিকে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। যেটি আগের দিন বিক্রি হয়েছিল ১০০ টাকায়। শুক্রবার পেঁয়াজে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা বেড়েছে। ভারত আজ সকাল থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে।’

.

আজ শনিবার নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি দোকানে খুচরায় প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায়। চীনের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।

কাজীর দেউড়ি বাজারের মুদি দোকানদার শাহজাহান বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে ১১০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করে আসছি। আজ সকাল থেকে দেখি হঠাৎ করে পেঁয়াজ কিনতে লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। পরে খবর পেলাম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, দেশে যথেষ্ট পেঁয়াজ থাকলেও কিছু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে রেখেছে বলে জানান তিনি। যেহেতু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই আমরাও বাধ্য হয়ে দাম বাড়িয়েছি।

এদিকে আমদানীকারক সূত্রে জানাগেছে, গত জুলাই মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ৯৪৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ চীন ও পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে চীন থেকে আমদানি হয়েছে ৮৪৭ মেট্রিক টন। পাকিস্তান থেকে আমদানি হয়েছে এক হাজার ১০২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।’

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print